আজ ৯ ডিসেম্বর। আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয়। সংবাদপত্রে বিশেষ নিবন্ধ, টেলিভিশনে টকশো, বিভিন্ন সংগঠনের সেমিনার ও র্যালি—এসবের মধ্য দিয়ে দিনটি পার হয়ে যাবে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, শুধু একটি দিনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম কি আমাদের দুর্নীতিগ্রস্ত সমাজ ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় কোনো মৌলিক পরিবর্তন আনতে পারে? এ দিনটি কী শুধু আনুষ্ঠানিকতা, না-কি আমাদের জন্য এক দারুণ প্রতিবাদ ও আত্মসমীক্ষণের সুযোগ?
দুর্নীতি বলতে আমরা সাধারণত ঘুষ, দুর্নীতি, তহবিল ক্ষতির কথা ভাবি। কিন্তু দুর্নীতির সংজ্ঞা আরও ব্যাপক। এটি হলো ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত সুবিধা আদায় করা। যখন একজন সরকারি কর্মকর্তা স্বজনদের চাকরি দেন, সেটিও দুর্নীতি। যখন একজন ঠিকাদার ভেঙে পড়া সেতু বানানোর টাকার কিছু অংশ নিজের পকেটে রাখেন, সেটি দুর্নীতি। যখন হাসপাতালে বিনা ঘুষে সেবা না মেলে, স্কুলে ভর্তি করতে টাকা গুনতে হয়, জমির দলিল করতে দালালের শরণাপন্ন হতে হয়—সবই দুর্নীতির বহুরূপী প্রকাশ। এটি শুধু অর্থের বিষয় নয়, এটি ন্যায়বিচার, সমতা ও মানবিক মর্যাদার বিরুদ্ধে এক নির্মম আঘাত।
দুর্নীতির সবচেয়ে বড় মূল্য আমরা দিই সামাজিকভাবে। এটি সমাজের মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দেয়। একটি শিশু যখন দেখে যে মেধা ও পরিশ্রমের চেয়ে ‘কানেকশন’ বা টাকার জোর বেশি কাজ করে, তার মনের মধ্যে ন্যায়পরায়ণতার বিশ্বাস গড়ে ওঠে না। এটি সামাজিক বৈষম্যকে চরমে তোলে। দুর্নীতির কারণে গরিব আরও গরিব হয়, কারণ তার সেবা বা সুযোগের অংশটুকুও চলে যায় ক্ষমতাধর বা টাকাওয়ালাদের পকেটে। এটি উন্নয়নকে পঙ্গু করে দেয়। লাখ-কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প যদি অল্প খরচে নিম্নমানের কাজ হয়, তাহলে এর ক্ষতি হয় জনগণের, আর লাভ হয় কিছু ঠিকাদার ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার।
আমাদের দেশে দুর্নীতির একটি বড় দিক হলো ‘সবাই করে’ বা ‘চলেই’ মানসিকতা। আমরা অনেকেই সরাসরি ঘুষ দিলে বা নিলে নিজেকে দুর্নীতিবাজ মনে করে না যদি তা ‘ছোটখাটো’ হয় বা ‘কাজ উদ্ধারের জন্য’ প্রয়োজনীয় মনে হয়। রাস্তায় পুলিশের ট্রাফিক সিগন্যাল উপেক্ষা করলে জরিমানা এড়াতে হয়তো ৫০ টাকা দিই—এটাও তো একধরনের দুর্নীতি। ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়া, সেবার বিনিময়ে অতিরিক্ত সুবিধা নেওয়া—এগুলোও দুর্নীতিরই অংশ। এই দৈনন্দিন ছোট ছোট অসাধুতাই পরে বড় আকারের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির পথ প্রশস্ত করে।
‘দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ’, ‘স্বাধীন বিচার বিভাগ’, ‘স্বচ্ছ শিক্ষা-স্বাস্থ্য খাত’– এ শব্দগুলো আমাদের রাজনৈতিক বক্তব্য এখন পুরোনো গানের মতো শোনায়। প্রতি নির্বাচনে আমরা একই সুর শুনি, একই প্রতিশ্রুতি শুনি, আর নির্বাচন পরবর্তী বাস্তবতায় দেখি তার সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র। রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে যে বক্তা সবচেয়ে জোরালোভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেন, তিনিই পরে দুর্নীতির সবচেয়ে বড় অভয়ারণ্য পরিণত হন। এই চক্র কীভাবে চলছে? কেনই বা আমরা বারবার একই মরীচিকার পেছনে ছুটছি?
বাংলাদেশে রাজনীতি আজ প্রতিশ্রুতির বাণিজ্যে পরিণত হয়েছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে তৈরি করা হয় স্বপ্নের বুলি। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার কথা বলে যে দল ক্ষমতায় আসে, সময়ের পরিক্রমায় তারাই দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করার ডাক দিয়ে যে সরকার জন্ম নেয়, পরবর্তীতে তারাই বিচার বিভাগকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানায়। এই প্রবণতা কোনো একটি দল বা গোষ্ঠীর মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়—এটি একটি ব্যবস্থাগত সমস্যায় পরিণত হয়েছে।
শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশের প্রতিশ্রুতি বিশেষভাবে বিদ্রূপাত্মক। কারণ এ দুটি খাতেই দুর্নীতি আজ সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ভর্তি বাণিজ্য থেকে শুরু করে চাকরির বাণিজ্য, শিক্ষাকে ঘিরে দুর্নীতির জাল এতটাই বিস্তৃত যে সাধারণ মানুষের জন্য গুণগত শিক্ষা প্রায় দুর্লভ হয়ে পড়ছে। স্বাস্থ্য খাতে যন্ত্রপাতি কেনা থেকে শুরু করে ওষুধ ক্রয়– প্রতিটি ধাপে দুর্নীতির দুষ্টচক্র। আর যারা এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতে এগিয়ে আসেন, তাদের জন্য তৈরি থাকে হয়রানি ও দমন-পীড়নের মেশিনারি।
দুর্নীতির এই চিরায়ত চক্রের পেছনে কাজ করে ক্ষমতার অতি কেন্দ্রীকরণ। আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায় দলগুলো অভ্যন্তরীণভাবে গণতান্ত্রিক না হওয়ায়, নেতৃত্বের চারপাশে তৈরি হয় একটি শক্তিশালী চক্র। এ চক্রটি ধীরে ধীরে একটি স্বার্থগোষ্ঠীতে পরিণত হয়, যাদের কাছে নীতি-আদর্শের চেয়ে ক্ষমতা ধরে রাখাই মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়। আর ক্ষমতা ধরে রাখতে গেলে প্রয়োজন অর্থ। এই অর্থ জোগানের জন্যই দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নেয়।
রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্নীতিবাজরা সুরক্ষা পায়। বদলে তারা দল ও নেতৃত্বকে অর্থ ও সমর্থন দেয়। এভাবে তৈরি হয় একটি পরিপূর্ণ করপোরেট রাজনৈতিক ব্যবস্থা, যেখানে দুর্নীতি একটি অনিবার্য উপাদান। এই চক্র থেকে বের হওয়া কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর পক্ষে এখন প্রায় অসম্ভব। কারণ পুরো ব্যবস্থাটি দুর্নীতির ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে।
ফল কী হয়? যে সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে শপথ নিয়ে আসে, সেই সরকারের দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া স্থবির হয়ে পড়ে। রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা নিষ্পত্তির গতি নির্ধারিত হয়। ক্ষমতাসীনদের জন্য তৈরি হয় বিচারের বিশেষ ব্যবস্থা, আর বিরোধীদের জন্য তৈরি হয় ভিন্ন মাপকাঠি। এভাবে বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার পরিবর্তে রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়।
এই পুরো প্রক্রিয়ায় সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ। যাদের ভোটে ক্ষমতায় আসে সরকার, তারাই শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নিপীড়িত হয়। দুর্নীতির বোঝা সরাসরি গিয়ে পড়ে তাদেরই কাঁধে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ন্যায়বিচার– মৌলিক অধিকারগুলো যখন অর্থের বিনিময়ে ক্রয়-বিক্রয়ের পণ্যে পরিণত হয়, তখন সাধারণ মানুষের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় প্রবেশের দ্বার সংকুচিত হতে থাকে।
তবুও আশ্চর্যের বিষয়, জনগণ প্রতিবারই নতুন প্রতিশ্রুতিতে আশান্বিত হয়। এটিই হয়তো মানুষের সহজাত স্বভাব– আশা করা, ভালোর প্রত্যাশা করা। কিন্তু এই আশাকে পুঁজি করেই কি রাজনীতিবিদরা প্রতিবার আমাদের ধোঁকা দিয়ে যাবেন? জনগণের এই সহজাত আশাবাদিতাই কি তাদের দুর্বলতা, যার সুযোগ নেয় ক্ষমতালোভীরা?
এই দুষ্টচক্র থেকে বের হওয়ার উপায় কী? প্রথমত; প্রয়োজন রাজনৈতিক সংস্কারের। দলগুলোয় অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, তরুণ ও নৈতিক নেতৃত্বের উত্থান, এবং আদর্শভিত্তিক রাজনীতির পুনরুজ্জীবন। দ্বিতীয়ত; প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বাধীনতা ও শক্তিশালীকরণ। শুধু বিচার বিভাগ নয়, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশনসহ সব তদারকি প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃত স্বাধীনতা দিতে হবে।
তৃতীয়ত; নাগরিক সচেতনতা বাড়ানো। জনগণকে বুঝতে হবে, প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়; বরং জবাবদিহিতার রাজনীতির দাবি করতে হবে। টাকা-পয়সা, উন্নয়নের ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পের মোহে না ভেসে, প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালীকরণ ও সুশাসনের দিকে নজর দিতে হবে।
দুর্নীতির এই রাজনীতিকরণ বন্ধ করতে হলে আমাদের তৈরি করতে হবে প্রতিরোধের সংস্কৃতি। শুধু ভোটের আগে নয়, বছরজুড়ে সরকার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর নজরদারি রাখতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রধানধারার মিডিয়া, সুশীল সমাজ– সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে এই ব্যাধি মোকাবিলায়।
রাজনীতিবিদদের শুধু প্রতিশ্রুতি দিলে হবে না, তাদের কাজের মধ্যদিয়ে প্রমাণ করতে হবে তারা সত্যিই পরিবর্তন চান। আর আমরা জনগণকেও বুঝতে হবে, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লড়াই শুধু রাজনীতিবিদদের নয়, এ লড়াই আমাদের সবার। আমরা যদি নিজের অবস্থান থেকে সৎ থাকি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াই, তাহলেই কেবল এই প্রতিশ্রুতির খেলার অবসান হতে পারে।
শুধু আইন করা আর কয়েকজন বড় মুখকে গ্রেপ্তার করলেই কি দুর্নীতির শেষ হবে? না, একেবারেই না। দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রথম ধাপ শুরু হতে হবে আমাদের নিজেদের থেকে, আমাদের পরিবার থেকে। আমাদের সন্তানকে বলতে হবে, নিজের যোগ্যতায় এগিয়ে যাও, বাবার কানেকশন নয়। অফিসে ফাইল জমা দিতে গেলে ঘুষের প্রস্তাব আসলে স্পষ্ট করে ‘না’ বলতে হবে, যদি সম্ভব হয় অভিযোগ করতে হবে। ছোটখাটো অসততা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে। আমরা যদি ‘একটা যায় আসে’ ভাবনা ত্যাগ করি, তখনই পরিবর্তন শুরু হবে।
দ্বিতীয়ত, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করতে হবে। সরকারি সব কাজ, বরাদ্দ, চুক্তি, ক্রয়—সবই হতে হবে অনলাইনে প্রকাশ্য। যেখানে জনগণ দেখতে পারবে তার ট্যাক্সের টাকা কীভাবে, কোথায় খরচ হচ্ছে। তথ্য অধিকার আইনকে আরও শক্তিশালী ও ব্যবহারবান্ধব করতে হবে। সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের জন্য তদন্তের পথ খোলা রাখতে হবে।
তৃতীয়ত, প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন ও দুর্নীতিমুক্ত করতে হবে, যাতে তারা নিরপেক্ষভাবে দোষীদের শাস্তি দিতে পারে। নিয়োগ ও পদোন্নতিতে মেধাকে একমাত্র মাপকাঠি করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (যা অনেক দেশে আছে) রাজনৈতিক চাপমুক্ত করে প্রকৃত স্বায়ত্তশীলতা ও শক্তি দিতে হবে।
চতুর্থত, শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতা ও নাগরিক দায়িত্ববোধের শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ছাত্রজীবন থেকেই যেন সততা, দায়িত্বশীলতা ও সমাজের প্রতি মমত্ববোধ তৈরি হয়।
আমরা প্রায়শই বলি, ‘একা কি আর পরিবর্তন করা যায়?’ কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী, সমাজ বদলাতে গেলে প্রথমে একজনেরই দাঁড়াতে হয়। একজন শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে সততার পাঠ দিতে পারেন। একজন সাংবাদিক দুর্নীতির খবর প্রকাশ করতে পারেন। একজন সরকারি কর্মচারী নিয়ম মেনে সেবা দিতে পারেন। একজন নাগরিক হিসেবে আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে গর্জে উঠতে পারি, সামাজিক মাধ্যম হোক বা শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ—সব জায়গায়।
দুর্নীতি কোনো ভাইরাসের মতো যা সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে। এর প্রতিষেধক হলো আমাদের সম্মিলিত নৈতিকতা, আমাদের সম্মিলিত সততা। আজ এই দিনে শপথ নেওয়া যাক—আর নয়। এ দিনটি যেন শুধু কথার কথা না থাকে। যেন আমরা প্রতিজ্ঞা করি যে, নিজের অবস্থান থেকে, নিজের ক্ষুদ্র ক্ষমতা অনুযায়ী, আমরা সততার চর্চা করবো, দুর্নীতির বিরোধিতা করবো। কারণ, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ কোনো স্বপ্ন নয়, এটি আমাদের অধিকার। আর এই অধিকার আদায়ের দায়িত্ব আমাদের সবার।
বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হবেই—এ আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। তবে তা হবে না রাজনীতিবিদদের মহানুভবতায়; বরং হবে জনগণের সচেতন সক্রিয়তায়, প্রতিষ্ঠানের শক্তিশালীকরণে এবং জবাবদিহিতার কঠোর ব্যবস্থায়। প্রতিশ্রুতির রাজনীতি নয়, আমরা চাই ফলাফলের রাজনীতি। আশার কথা, নতুন প্রজন্ম এই পরিবর্তনের দাবি তুলছে। তাদের হাত ধরেই আসুক দুর্নীতিমুক্ত, সুস্থ ও সুন্দর বাংলাদেশ।
দিনটি হোক আলোচনার, হোক প্রতিজ্ঞার, হোক পদক্ষেপের সূচনা। মনে রাখবেন, একটি মোমবাতি অন্ধকার দূর করতে পারে। আমরা সবাই মিলে যদি সততার মোমবাতি জ্বালাই, তাহলে নিশ্চিতভাবে হারাতে হবে দুর্নীতির অন্ধকারকে। দুর্নীতিমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ার এ যাত্রা শুরু হোক আজ, এই মুহূর্ত থেকে।
লেখক : সাংবাদিক
ভাঙছে মেরুদণ্ড, ডুবছে শিক্ষা ॥ কাউছার খোকন
স্মার্টফোনের ফাঁদে সামাজিকতা॥ কাউছার খোকন
রাজনীতির মাঠে নতুন খেলোয়াড় ও একটি ফুলের গল্প॥ কাউছার খোকন