ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

শান্তির পথে বড় অর্জন, কিন্তু স্থায়ী সমাধান কত দূর ॥ কাউছার খোকন

আপডেট : ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ০২:২২ পিএম

গাজা উপত্যকার ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে আসছে শান্তির একটি সম্ভাবনা। রক্তপাত, ধ্বংস ও মৃত্যুর দীর্ঘ অধ্যায়ের পর অবশেষে ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে গাজার সাধারণ মানুষ এবং ইসরায়েলি নাগরিকরা একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারবেন।

গত কয়েক মাস ধরে গাজায় যে সংঘাত চলছিল, তাতে হাজার হাজার সাধারণ ফিলিস্তিনি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। ইসরায়েলি হামলায় গাজার অবকাঠামো প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। হাসপাতাল, স্কুল, বাসস্থান—কিছুই রক্ষা পায়নি। অন্যদিকে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের নাগরিকদের জীবনও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ২০ দফা প্রস্তাবনা একটি আলোকবর্তিকার মতো দেখা দিয়েছে।

প্রস্তাবনায় তিনটি মূল বিষয় ছিল—যুদ্ধবিরতি, জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় প্রশাসনিক কর্তৃত্ব হস্তান্তর। এই তিনটি বিষয়ই সংঘাত নিরসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধবিরতি মানে রক্তপাত বন্ধ হওয়া। জিম্মিদের মুক্তি মানে বহু পরিবারের জন্য তাদের প্রিয়জনকে ফিরে পাওয়া। আর গাজায় প্রশাসনিক কর্তৃত্ব হস্তান্তর দীর্ঘমেয়াদি শান্তি প্রক্রিয়ার সূচনা করতে পারে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে তার রাষ্ট্রপতি জীবনের একটি বড় কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি সরাসরি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানান। তার এই স্পষ্ট অবস্থান এবং সময়োচিত পদক্ষেপ সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

মজার বিষয় হলো, ট্রাম্প শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালেই ট্রুথ সোশ্যালে একটি বার্তা পোস্ট করে ইসরায়েলকে গাজায় বোমাবর্ষণ ও সামরিক অভিযান অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানান। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বিবৃতি আসে যে তারা ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’। এই দ্রুত সাড়া দেখিয়ে দেয় যে আমেরিকার চাপ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আশা এই সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে।

হামাসের সম্মতি এই পুরো প্রক্রিয়ায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা শুক্রবারই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেয় যে তারা ট্রাম্পের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে এবং নিজেদের কব্জায় থাকা সব জিম্মিকে মুক্তি দিতে ও গাজার প্রশাসনিক ক্ষমতা হস্তান্তর করতে প্রস্তুত। এটি একটি বড় রূপান্তর, কারণ হামাস দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলের সঙ্গে কোনো ধরনের চুক্তিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল।

হামাসের এই সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে গাজাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে প্রশ্ন থেকে যায়, তারা কি সত্যিই গাজার প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করতে প্রস্তুত? এই হস্তান্তর কীভাবে হবে? এবং কারা গাজার প্রশাসনিক দায়িত্ব নেবেন? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর এখনো অস্পষ্ট।

যদিও এই যুদ্ধবিরতি একটি বড় অর্জন, কিন্তু চ্যালেঞ্জগুলো এখনো অনেক। প্রথমত, এই চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষকেই তাদের প্রতিশ্রুতি রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে। গাজার মানুষ যেখানে খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং আশ্রয়ের অভাবে দিন কাটাচ্ছেন, সেখানে দ্রুত মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

তৃতীয়ত, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এই যুদ্ধবিরতি যেন স্থায়ী শান্তিতে রূপ নিতে পারে। গাজা ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের মূল কারণগুলো চিহ্নিত না হলে এই যুদ্ধবিরতি সাময়িক স্বস্তি দিতে পারলেও ভবিষ্যতে আবারো সংঘাতের দিকে যেতে পারে।

তবে আশার কথা হলো, উভয় পক্ষই এই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। নেতানিয়াহুর দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, ‌‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে আমাদের নীতি সঙ্গতিপূর্ণ। আমরা এই প্রক্রিয়ায় তার প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করবো।’ এই ধরনের ইতিবাচক বক্তব্য নিঃসন্দেহে শান্তি প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরও এই শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করা উচিত। জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মিশর ও জর্ডান মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর করতে এবং গাজায় মানবিক সাহায্য পৌঁছাতে সহায়ক বা গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে।

ভূমধ্যসাগরের তীরঘেঁষা এক টুকরো ভূমি, যার দৈর্ঘ্য মাত্র ৪১ কিলোমিটার আর প্রস্থ সর্বোচ্চ ১২ কিলোমিটার। এটি গাজা ভূখণ্ড, যেখানে বাস করেন প্রায় ২৩ লাখ মানুষ। এটি বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। কিন্তু গাজার আসল পরিচয় এটি নয়। এর আসল পরিচয় হলো, এটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ‘উন্মুক্ত কারাগার’। প্রায় দেড় দশক ধরে ইসরায়েলি অবরোধের মধ্যে বন্দি এই ভূখণ্ড এবং এর মানুষজন। গত কয়েক মাস ধরে এই পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, যার জেরে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। 

২০০৬ সালে হামাসের এক সেনানায়ককে আটক করার পর ইসরায়েল গাজায় অবরোধ জারি করে। ২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এই অবরোধ আরও কঠোর হয়। ইসরায়েলের পাশাপাশি মিশরও তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দেয়। ফলে গাজা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। মানুষ, পণ্য, এমনকি জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও জ্বালানির প্রবেশও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত হতে থাকে।

এই অবরোধের ফলে গাজার অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। মৎস্য শিল্প, কৃষি ও অন্যান্য উৎপাদন শিল্প স্থবির হয়ে পড়ে। বেকারত্বের হার আকাশচুম্বী হয়। প্রায় ৮০ শতাংশ জনগণ মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন। বিদ্যুৎ সঙ্কট এতটাই তীব্র যে, দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট প্রকট। হাসপাতালগুলো অত্যাবশ্যকীয় যন্ত্রপাতি ও ওষুধ ছাড়া চলছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে গাজা থেকে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামলা এবং ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক জবাবের পর থেকে পরিস্থিতি এক ভয়াবহ যুদ্ধে রূপ নেয়। ইসরায়েলের বিমান হামলা, স্থলযুদ্ধ ও নৌ-অবরোধে গাজার পরিস্থিতি এক ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে।

হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক, যাদের মধ্যে অনেকেই নারী ও শিশু, নিহত হয়েছেন। বহু ঘরবাড়ি, স্কুল, হাসপাতাল, মসজিদ ও পুরো পাড়াঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘের মতে, গাজার একটি বড় অংশ ধ্বংস হয়ে গেছে।

গাজার প্রায় পুরো জনসংখ্যাকে একাধিকবার তাদের বাসস্থান ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হয়েছে। তারা আশ্রয় নিয়েছে UNRWA (The United Nations Relief and Works Agency for Palestine Refugees in the Near East)-র স্কুল ও অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রে, যেখানে খাবার, পানি, ওষুধ ও নিরাপত্তার মারাত্মক সঙ্কট রয়েছে।

হাসপাতালগুলোতে বিদ্যুৎ সঙ্কট, জ্বালানির অভাবে জেনারেটর বন্ধ হওয়া, ও অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ ও সরঞ্জামের অভাব দেখা দিয়েছে। আহতরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছেন না। সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও জ্বালানির প্রবেশ সীমিত হয়ে পড়ে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) সতর্ক করেছে যে, গাজায় দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। শিশুরা অপুষ্টির শিকার হচ্ছে।

গাজার এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা খুবই জটিল ও অনেকাংশে অকার্যকর।

জাতিসংঘ বারবার যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বান জানালেও তা কার্যত বাস্তবায়ন করতে পারেনি। নিরাপত্তা পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কয়েকটি প্রস্তাব পাস করলেও যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোর কারণে সেগুলো কার্যকর হয়নি।

বেশিরভাগ আরব ও মুসলিম দেশ ইসরায়েলের নিন্দা করেছে ও যুদ্ধবিরতির ডাক দিয়েছে। তবে, তাদের প্রভাব সীমিত। কাতার ও মিশর কূটনৈতিক আলোচনা ও মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে মধ্যস্থতার ভূমিকা পালন করছে।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ও জার্মানির মতো দেশগুলো ইসরায়েলের ‘আত্মরক্ষার অধিকার‘-এর পক্ষে সমর্থন জানালেও যত সময় যায় তারা ইসরায়েলের মিলেটারি অভিযানে বেশি সংখ্যক বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যুর কারণে চাপের মুখে পড়েছে ও তারা ‌‌‘মানবিক বিরতি’ ও বেসামরিক নাগরিকের সুরক্ষার আহ্বান জানাচ্ছে।

গাজার এই দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটের কোনো সহজ সমাধান নেই। তবে, কয়েকটি পদক্ষেপ এই সঙ্কট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে:
১. অবিলম্বে মানবিক যুদ্ধবিরতি: সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে জরুরি হলো একটি টেকসই মানবিক যুদ্ধবিরতি। এটি না হলে সহায়তা পৌঁছানো অসম্ভব, ও প্রাণহানি আরও বাড়বে।
২. বিরতিহীন ও পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা: অবরোধ তুলে নিয়ে জীবনরক্ষাকারী খাদ্য, পানি, ওষুধ, ও জ্বালানি গাজায় প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন এনজিওগুলোর কাজ করতে হবে অবাধে।
৩. দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমাধান: শুধু যুদ্ধবিরতি ও সহায়তা এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান নয়। ফিলিস্তিন সমস্যার একটি সামগ্রিক ও ন্যায়সংগত রাজনৈতিক সমাধান ছাড়া গাজায় শান্তি আসবে না। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত:

দুই-রাষ্ট্র সমাধান: ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সর্বসম্মত প্রস্তাব, কিন্তু বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ইচ্ছার অভাব রয়েছে।

ফিলিস্তিনি ঐক্য: ফাতাহ ও হামাসের মধ্যে রাজনৈতিক বিভক্তি ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব হওয়ার ক্ষমতাকে দুর্বল করেছে। ফিলিস্তিনি নেতৃত্বের মধ্যে ঐক্য একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করতে পারে।

ইসরায়েলের অবরোধ উত্তোলন: গাজার অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনর্গঠনের জন্য অবরোধ সম্পূর্ণভাবে তুলে নেওয়া অপরিহার্য। গাজার মানুষকে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার স্বাধীনতা দিতে হবে।

গাজার বর্তমান পরিস্থিতি শুধু একটি আঞ্চলিক সংঘাত নয়; এটি মানবতার জন্য একটি চরম পরীক্ষা। একটি সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ ভূখণ্ডে লাখ লাখ নারী, পুরুষ ও শিশু মানবিক সহায়তার অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন, তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটি আন্তর্জাতিক আইনেরও একটি গুরুতর লঙ্ঘন।

গাজার মানুষ শুধু ইসরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে না, তারা লড়াই করছে বেঁচে থাকার জন্য, মর্যাদার সঙ্গে বাঁচার জন্য। এই উন্মুক্ত কারাগারের দীর্ঘস্থায়ী সঙ্কটের কোনো সামরিক সমাধান নেই। ইতিহাস প্রমাণ করেছে, সহিংসতা জন্ম দেয় আরও সহিংসতা। একমাত্র রাজনৈতিক আলোচনা, আন্তর্জাতিক চাপ, ও ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়সংগত অধিকারের প্রতি সম্মান দেখিয়েই এই রক্তপাতের অবসান হতে পারে। বিশ্ববাসীকে মনে রাখতে হবে, গাজায় যারা বাস করছেন, তারাও আমাদের মতোই মানুষ। তাদেরও রয়েছে বাঁচার, স্বপ্ন দেখার, ও নিজেদের ভাগ্য গড়ার অধিকার। সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়াই হবে এই সঙ্কটের একমাত্র সঠিক সমাধান।

লেখক: সাংবাদিক

আরও পড়ুন