রিজিকে সচ্ছলতা আসে যে আমলে

আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

মানবজীবনে আত্মীয়তার বন্ধন অমূল্য এক সম্পর্ক। দুঃসময়ে আত্মীয়রা প্রেরণা, শক্তি ও স্থিতিশীলতার বড় উৎস। তাই এ সম্পর্ক অটুট রাখা ইসলামের বিশেষ নির্দেশনা। হাদিসে এসেছে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা করলে রিজিকে বরকত আসে, মন প্রশান্ত থাকে এবং আয়ুও বৃদ্ধি পায়।

আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকবে, কিয়ামতের দিন তার হিসাব সহজ হবে এবং আল্লাহ তার দয়ায় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।

সাহাবিরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে তোমাকে বঞ্চিত করে, তুমি তাকে দান করো; যে তোমার প্রতি জুলুম করে, তুমি তাকে ক্ষমা করো এবং যে আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করতে চায়, তুমি তার সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখো। (মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৯১২)

হাদিসে আরও উল্লেখ আছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষার মাধ্যমেই রিজিকে সচ্ছলতা ও দীর্ঘায়ু লাভ হয়। আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি চায় তার রিজিক বাড়ুক এবং আয়ু দীর্ঘ হোক, সে যেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে। (সহিহ বুখারি: ৫৯৮৫, সহিহ মুসলিম: ৬২৯২)

ইসলামি দৃষ্টিতে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা শুধু সৌজন্যমূলক আচরণ নয়; বরং এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমল। আত্মীয়দের খোঁজখবর নেওয়া, সদাচরণ করা, প্রয়োজনে সহযোগিতা করা এবং হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এসবই এর অংশ।

তবে বর্তমান সমাজে আত্মীয়তার এ বন্ধন রক্ষা অনেকটাই অবহেলিত হয়ে পড়েছে। ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললেও অনেকেই আত্মীয়তার বিষয়ে উদাসীন। ইসলামি শিক্ষায় এটি ঐচ্ছিক নয়; বরং সম্পর্ক ছিন্ন করা একটি বড় গুনাহ।

আলেমরা বলেন, সমাজে ভালোবাসা, মানসিক শান্তি এবং রিজিকে বরকত আনতে আত্মীয়তার বন্ধন পুনরুজ্জীবিত করা জরুরি। ইসলামের এ নির্দেশনা পালন করলে ব্যক্তি, পরিবার ও সমাজ তিনটিই সুফল লাভ করে।

LH/FJ