শুরু হলো হিজরি নববর্ষ, ১৪৪৬। বাংলাদেশের আকাশে রোববার সন্ধ্যায় মহরম মাসের চাঁদ দেখা গেছে। তাই আজ সোমবার থেকে শুরু পবিত্র মহররম মাস। মুহাররম মাস শুধুমাত্র কারবালার ঘটনা স্মরণ করার মাস নয় বরং মুসলিম বিশ্বকে নতুন করে গড়ে তোলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞার মাস।
পবিত্র কোরআনুল কারিম ও হাদিস শরিফে এ মাসকে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ বলা হয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটি সম্মানিত চার মাসের অন্যতম। তাই এ মাসে রোজা রাখার জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ মাসের ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখে ২টি রোজা রাখা উত্তম।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত- এক হাদিসে নবী করিম সা: বলেছেন, ‘রমজানের পর আল্লাহর কাছে মহররমের রোজা হলো সর্বশ্রেষ্ঠ’ (মুসলিম-৩৬৮)।
হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি একবার রাসুল (সা.)-এর দরবারে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসুল, আমরা রমজানের পর সবচেয়ে বেশি রোজা রাখব কোন মাসে? তিনি বলেন, তোমরা যদি রমজানের পর কোনো মাসে রোজা রাখতে চাও, তাহলে মহররম মাসে রাখো। কেননা, এটি আল্লাহর মাস। এই মাসে এমন একটি দিন আছে, যেদিন আল্লাহ আগের এক জাতির তাওবা কবুল করেছেন এবং পরবর্তীদের তাওবাও কবুল করবেন। (তিরমিজি, হাদিস: ৭৪০; ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৪২)
আমরা চেষ্টা করব এ মাস ইবাদত-বন্দেগি বেশি বেশি করা। আমরা যেন এমন কিছু না করি যা আমাদেরকে ইসলাম অনুমতি দেয় না। যেমন কান্নাকাটি করা, মাতম-মর্সিয়া করা, শরীরের রক্ত বের করা ইত্যাদি করা থেকে আমরা বিরত থাকব। ১০ মহররমকে কেন্দ্র করে অতিরঞ্জিত কিছু না করে আমরা চেষ্টা করব হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) সত্য প্রচারের যে আদর্শ রেখে গেছেন তা যেন আমরা সব সময় আঁকড়ে ধরে রাখতে পারি।
