তারাবির নামাজের নিয়ম, নিয়ত, দোয়া ও মোনাজাত

আপডেট : ০১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩৭ পিএম

বাংলাদেশের আকাশে পবিত্র রমজান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। রোববার (২ মার্চ) পবিত্র রমজান মাস শুরু হবে। শনিবার (১ মার্চ) এশার নামাজের সঙ্গে তারাবির নামাজ পড়বেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভোর রাতে রোজা রাখার উদ্দেশ্যে সেহরি খাবেন তারা।

রমজান মাসে এশার নামাজের পর বিতর নামাজের আগে দুই রাকাত করে ১০ সালামে যে ২০ রাকাত নামাজ আদায় করা হয় তাকে ‘তারাবির নামাজ’ বলা হয়। আরবি এবং বাংলা উভয়ভাবে নিয়ত করা যাবে। 

যেভাবে পড়বেন তারাবির নামাজ
দুই রাকাত করে নামাজ আদায় করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করা। আবার দুই রাকাত নামাজ পড়া। এভাবে ৪ রাকাত আদায় করার পর একটু বিশ্রাম নেয়া।
 
বিশ্রামের সময় তাসবিহ তাহলিল পড়া, দোয়া-দরূদ ও জিকির আজকার করা। তারপর আবার দুই দুই রাকাত করে আলাদা আলাদা নিয়তে তারাবি আদায় করা।

তারাবির নিয়ত: 
উচ্চারণ: নাওয়াাইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তাআলা, রকাআতাই সালাতিত তারাবিহ, সুন্নাতু রাসুলিল্লাহি তাআলা, মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি, আল্লাহু আকবার।
 
বাংলায় নিয়ত হচ্ছে, আমি কেবলামুখি হয়ে দুই রাকাআত তারাবির সুন্নতে মুয়াাক্কাদাহ নামাজের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার। (জামাআত হলে যোগ করতে হবে এ ইমামের পেছনে পড়ছি)।
 
তারাবি নামাজের নিয়ত আরবিতে করা আবশ্যক বা বাধ্যতামূলক নয়। বাংলাতেও এভাবে নিয়ত করা যাবে যে, ‘আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তারাবি -এর দুই রাকাত নামাজ কেবলামুখী হয়ে পড়ছি।
  
তারাবি নামাজের দোয়া
তারাবি নামাজে প্রতি চার রাকাত পর বিশ্রাম নেওয়া হয়। এ সময় একটি দোয়া পড়ার প্রচলন রয়েছে আমাদের দেশে। প্রায় সব মসজিদের মুসল্লিরা এই দোয়াটি পড়ে থাকেন। দোয়াটি হলো-
 
উচ্চারণ: ‘সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা জিল ইয্যাতি ওয়াল আঝমাতি ওয়াল হায়বাতি ওয়াল কুদরাতি ওয়াল কিব্রিয়ায়ি ওয়াল ঝাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়্যিল্লাজি লা ইয়ানামু ওয়া লা ইয়ামুত আবাদান আবাদ; সুব্বুহুন কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়ার রূহ।’
 
তবে তারাবি নামাজ সহীহ হওয়া বা না হওয়ার সঙ্গে এই দোয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দোয়া না পড়লে তারাবি নামাজ হবে না, এমনটা নয়। মূলত এ দোয়ার সঙ্গে তারাবি নামাজ হওয়া কিংবা না হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।
 
এ সময় কুরআন-হাদিসে বর্ণিত যেকোনো দোয়াই পড়া যাবে। তারাবি নামাজে চার রাকাত পর বিশ্রামের সময়টিতে কুরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া, তওবা,-ইসতেগফারগুলো পড়াই উত্তম।

তারাবি নামাজের মোনাজাত
আমাদের দেশে তারাবির নামাজের মোনাজাত হিসেবে একটি মোনাজাতের প্রচলন আছে। বিশ রাকাত নামাজ শেষ করে এ দোয়াটি পড়া হয়। দোয়াটি হলো—

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্না নাস আলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনাননার। ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান নার। বিরাহ মাতিকা ইয়া আজিজু ইয়া গাফফার, ইয়া কারিমু ইয়া সাত্তার, ইয়া রাহিমু ইয়া জাব্বার, ইয়া খালিকু ইয়া বার। আল্লাহুম্মা আজিরনা মিনান নার। ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজির। বিরাহ মাতিকা ইয়া আরহামার রহিমিন।’

তবে কোনো কারণবশত একদিন তারাবির নামাজ পড়তে না পারলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। নামাজ না পড়ার শাস্তি ভোগ করতে হবে। অনেকেই মনে করেন তারাবির নামাজ আদায় না করলে রোজা হবে না। এটা সম্পূর্ণ একটি ভুল ধারণা। এমন কোন কথা কুরআন-হাদিসে উল্লেখ নেই। 

 

 

FJ