ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফরজ গোসল না করে সেহরি খাওয়া যাবে কি?

‘স্বপ্নদোষ বা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।’

আপডেট : ০৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৫৭ পিএম

স্বপ্নদোষ বা স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পর গোসল করা ফরজ। এ ফরজ গোসল না করে যদি সেহরি খাওয়া হয় তাহলে রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি-না, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব রয়েছে।

রমজান মাসে রোজা পালনের উদ্দেশ্যে সেহরি খাওয়া সুন্নত। ইসলামি চিন্তাবিদরা বলছেন, নিয়ম অনুযায়ী গোসল ফরজ হওয়ার পর খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য কাজের আগে পবিত্র হয়ে নেওয়া উত্তম। তবে জরুরি নয়। গোসল করা ছাড়াও খাওয়া যায়। কারণ সেহরি খাওয়ার জন্য পবিত্রতা ফরজ নয়, বরং সুন্নত। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দুভাবেই বর্ণিত আছে। তাই গোসল ফরজ অবস্থায়ও সেহরি খাওয়া যায়।

তবে গোসল ফরজ হওয়া সত্ত্বেও বিনা ওজরে গোসল না করে অপবিত্র অবস্থায় এক ওয়াক্ত নামাজের সময় অতিবাহিত হয়ে যাওয়া মারাত্মক গোনাহ। এক্ষেত্রে অলসতা বা তীব্র লজ্জা গ্রহণযোগ্য কোন ওজর নয়; যার কারণে নামায আদায়ে এ বিলম্ব করা যেতে পারে। (বাদায়ে, ১/১৫১)

যার ওপর গোসল ফরজ তিনি গোসল না করে সেহরি খেতে কোনো নিষেধ নেই। তবে এমতাবস্থায় কুলি করে এবং উভয় হাত ধুয়ে পানাহার করা উত্তম। 

হাদিসে এসেছে, উম্মুল মুমিনীন উম্মে সালামা (রা.) বর্ণনা করেন: সহবাসের ফলে মাঝে-মধ্যে না-পাকি অবস্থায় রাসূল সা. সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অতঃপর গোসল করে রোজা রাখতেন। (বুখারি ১৯২৬)

ওই অবস্থায় নামাজ, তাওয়াফ, কুরআন তেলাওয়াত ও স্পর্শ করা এবং মসজিদে গমণ করা ছাড়া অন্যান্য সবধরণের কাজ করা যায়। (বুখারি ২৭৯) সুতরাং সেহরিও খাওয়া যাবে।

তবে অন্যান্য কাজ একেবারে নিষেধ না হলেও কোনো কাজ করার আগে গোপনাঙ্গ ধুয়ে নেয়া ও ওজু করে  নেওয়ার কথা একাধিক হাদিসে এসেছে। 

যেমন, হজরত আয়েশা (রা.) বলতেন, তোমাদের কেউ স্ত্রী সহবাস করলে, অতঃপর গোসলের পূর্বে ঘুমানোর ইচ্ছা করলে সে নামাযের ওজুর মত ওজু না করে ঘুমাবে না। (মুয়াত্তা মালিক ৭৭)

AA
আরও পড়ুন