ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

মাসিকের কারণে বিদায়ী তাওয়াফ না করলে ইসলাম কী বলে

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৫, ০৬:০৯ পিএম

হজের সব কার্যক্রম শেষ করার পর মক্কা ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে শেষ বারের মতো কাবা তাওয়াফ করা ওয়াজিব। এ তাওয়াফকেই বিদায়ী তাওয়াফ বলা হয়। আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন,

لَا يَنْفِرَنَّ أَحَدٌ حَتَّى يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِ بِالْبَيْتِ

তোমাদের কেউ যেন তার সর্বশেষ বাইতুল্লাহর তাওয়াফ না করে মক্কা থেকে না চলে যায়। (সহিহ মুসলিম: ১৩২৭)

হজের সব কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর যে কোনো তাওয়াফই বিদায়ী তাওয়াফ গণ্য হয়। কেউ যদি হজ সম্পন্ন করে যে কোনো তাওয়াফ করে মক্কায় অবস্থান করে তাহলে তার জন্য মক্কা থেকে চলে আসার সময় আবার তাওয়াফ করা ওয়াজিব নয়। যেহেতু তার ওয়াজিব তাওয়াফ ইতিপূর্বেই আদায় হয়ে গেছে। তবে তার জন্যও একবার তাওয়াফ করে বিদায় নেওয়া মুস্তাহাব।

কেউ যদি হজের কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর বিদায়ী তাওয়াফ বা কোনো নফল তাওয়াফ না করে দেশে ফিরে যায়, তাহলে যখন সুযোগ হয় নিজে ওমরাহর উদ্দেশ্যে গিয়ে ওমরাহর কাজ শেষ করে ছুটে যাওয়া তাওয়াফটি আদায় করে নেওয়া যাবে। বিলম্বে তাওয়াফ করার কারণে কোনো দম, সদকা বা জরিমানা ওয়াজিব হবে না। আর যদি এভাবে সেখানে গিয়ে তাওয়াফ করা সম্ভব না হয় তাহলে কারো মাধ্যমে হারাম এলাকার মধ্যে একটি ছাগল/দুম্বা জরিমানা দম হিসেবে কোরবানি করতে হবে।

তবে নারীদের বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় রয়েছে। বিদায়ী তাওয়াফের আগে কোনো নারীর যদি মাসিক শুরু হয় এবং সে এই ওজরের কারণে মক্কা ছেড়ে যাওয়ার আগে বিদায়ী তাওয়াফ করতে না পারে, তার ওপর দম বা কোনো জরিমানা আবশ্যক হবে না। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন,

أُمِرَ النَّاسُ أَنْ يَكُونَ آخِرُ عَهْدِهِمْ بِالْبَيْتِ إِلَّا أَنَّهُ خُفِّفَ عَنِ الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ

সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হজ শেষে মক্কা ছেড়ে যাওয়ার সময় তাদের সর্বশেষ কাজ যেন হয় বায়তুল্লাহর তাওয়াফ, তবে মাসিক অবস্থায় থাকা নারীদের ছাড় দেওয়া হয়েছে। (সহিহ মুসলিম: ১৩২৮)

AA
আরও পড়ুন