ইসলামে আশুরা (১০ মহররম) একটি অত্যন্ত মর্যাদাবান দিন। আশুরার রোজা রাখলে পূর্ববর্তী এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়। এদিন নবী করিম (স.) নিজে রোজা রাখতেন এবং সাহাবাদেরও তা রাখার নির্দেশ দিতেন। তবে কেউ যদি বৈধ কারণে রোজা রাখতে না পারেন, তাহলেও তিনি আশুরার দিনটি ইবাদত-বন্দেগি ও নেক আমলে কাটিয়ে বিপুল সওয়াব অর্জন করতে পারেন।
ইবনু আব্বাস (রা.) বলেন- ‘আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে আশুরা ও রমজানের রোজার মতো অন্য কোনো রোজাকে এত গুরুত্ব দিতে দেখিনি।’ (সহিহ বুখারি: ২০০৬)
তবে যারা রোজা রাখতে অক্ষম, তারা যেন এই দিনটি অবহেলায় না কাটান। কারণ আশুরা শুধু রোজার দিন নয়—এদিন রয়েছে আরও বহু ফজিলতপূর্ণ আমল।
আশুরায় রোজা ছাড়া যেসব নেক আমলে রয়েছে বহু সওয়াব
দান-খয়রাত করা
নফল নামাজ আদায়
বেশি বেশি জিকির করা
কোরআন তেলাওয়াত
তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়
গরিবদের খাওয়ানো
পরস্পরের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে দেওয়া
অসুস্থকে দেখতে যাওয়া
মুমিন ভাইয়ের জন্য কল্যাণ কামনায় দোয়া করা
দ্বীনি কাজে সময় ব্যয় করা
তওবা ও ইস্তিগফার
আল্লাহ তাআলার কাছে প্রতিটি নেক আমলই মূল্যবান। বিশেষ করে ফজিলতপূর্ণ দিনে নফল ইবাদতের সওয়াব বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। তাই যারা রোজা রাখতে না পারেন, তারা যেন অন্তত অন্য নেক আমলগুলো মিস না করেন।
আশুরার রোজা কবে, কয়টি রাখতে হয়