ইসলামে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক একটি পবিত্র বন্ধন। ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা—এই তিনটি ভিত্তির ওপর গড়ে ওঠে একটি সুস্থ দাম্পত্য জীবন। তবে বাস্তব জীবনে নানা কারণেই স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হতে পারে। কখনো স্বামীর ভালোবাসা স্ত্রীর প্রতি কমে যেতে পারে কিংবা স্ত্রীর আবেগও ম্লান হয়ে যেতে পারে। এসব অবস্থায় একে অপরের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া শান্তিপূর্ণ সমাধানের একটি উপায়।
সুসম্পর্কই শান্তিপূর্ণ পরিবারের চাবিকাঠি
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ভালোবাসা ও সম্মান না থাকলে তা শুধু ব্যক্তি নয়, পরিবার ও সমাজেও প্রভাব ফেলে। তাই দাম্পত্য সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও ধৈর্যের পাশাপাশি আল্লাহর উপর ভরসা ও কোরআনের নির্দেশনা অনুসরণ করা জরুরি।
সুন্নাহভিত্তিক ৬টি পরামর্শ
১. নিজের ভুলগুলো খুঁজে দেখা: কর্তব্যে ঘাটতি আছে কিনা যাচাই করা, অহংকার থাকলে নিয়ন্ত্রণ করা।
২. সৌন্দর্য চর্চা: স্বামীর পছন্দের পোশাক পরা, স্বামীকে উৎফুল্ল রাখতে সুগন্ধি ব্যবহার করা।
৩. ভালো ব্যবহার: মিষ্টি ভাষায় কথা বলা, স্বামীর পছন্দের খাবার রান্না করা।
৪. ধৈর্য্য ধারণ: রাগ নিয়ন্ত্রণ করা, অল্পতে সন্তুষ্ট থাকা।
৫. প্রয়োজনীয় গোপনীয়তা: ঘরের কথা বাইরে না বলা, স্বামীর দোষ গোপন রাখা।
৬. দোয়া ও ইবাদত: তাহাজ্জুদে কান্নাকাটি করা, ইস্তেগফার বাড়ানো।
কোরআন জীবনের সব সমস্যার দিকনির্দেশনা দেয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের টানাপড়েনেও রয়েছে এর সমাধান। পরিবার গড়ে ওঠে ভালোবাসা, বিশ্বাস ও আল্লাহভীতির ভিত্তিতে। আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে, কোরআনের আলোকে একটি শান্তিপূর্ণ, পরস্পর শ্রদ্ধাভিত্তিক পরিবার গড়ে তুলতে সুন্নাহভিত্তিক চলতে হবে।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ছোট্ট যে আমল করবেন