কুরআন ও হাদিসে যাদের ‘শহীদ’ বলা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দিয়েছেন।
শহীদরা মৃত নন- কুরআনের ঘোষণা
কুরআনের একটি আয়াত আমাদের শোকের ভাষাকে বদলে দেয়। আমরা যাকে হারানো বলি, আল্লাহ তাকে বলেন জীবিত।
আল্লাহ তাআলা শহীদদের অবস্থান সম্পর্কে বলেন—‘যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে, তাদের কখনো মৃত মনে করো না বরং তারা জীবিত, তাদের রবের কাছে রিজিক প্রাপ্ত হয়।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ১৬৯)
শহীদদের বিশেষ জীবন ও আনন্দ
শহীদের জীবন দুঃখের নয় বরং আনন্দের। তারা দুনিয়ার সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হয়ে রবের সান্নিধ্যে পৌঁছে যান। আল্লাহ তাআলা আরও বলেন—‘আল্লাহ তাদের নিজ অনুগ্রহে যা দিয়েছেন, তাতে তারা আনন্দিত।’ (সুরা আল-ইমরান: আয়াত ১৭০)
শহীদের মর্যাদা—হাদিসের আলোকে
শহীদের মর্যাদা এমন, যা জান্নাতের নেয়ামত দেখেও তাকে আবার কুরবানির পথে ডাক দেয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন— ‘জান্নাতে প্রবেশকারী কেউই দুনিয়ায় ফিরে আসতে চাইবে না— যদিও পৃথিবীর সবকিছু তাকে দেওয়া হয়— শুধু শাহাদাত ছাড়া। শহীদ আবার দুনিয়ায় ফিরে এসে আল্লাহর পথে শহীদ হতে চায়।’ (বুখারি ২৮১৭, মুসলিম ১৮৭৭, মিশকাত ৩৮০৩)
শহীদের প্রথম পুরস্কার
শহীদের প্রথম পুরস্কার এমন ক্ষমা; যা বহু বছরের ইবাদতেও অনেকের নসিব হয় না। নবী (সা.) বলেন- শহীদের জন্য আল্লাহর কাছে ৬টি পুরস্কার সুরক্ষিত রয়েছে—
১) যুদ্ধরত অবস্থায় তার রক্তের ফোঁটা মাটিতে ঝরা মাত্রই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং তাকে জান্নাতের আবাসস্থল দেখানো হয়।
২) তাকে কবরের আজাব থেকে নিষ্কৃতি দেওয়া হয়।
৩) হাশরের ময়দানের মহাভীতি থেকে দূরে রাখা হয়।
৪) (কেয়ামতের দিন) সম্মানজনকভাবে তার মাথায় ইয়াকুতের মুকুট পরানো হবে, যার মধ্যে খচিত একটি ইয়াকুত দুনিয়া ও তার সমস্ত ধন-সম্পদ থেকে উত্তম।
৫) সুন্দর বড় বড় চক্ষুবিশিষ্ট বাহাত্তর জন হুরকে তার সঙ্গিনীরূপে দেওয়া হবে।
৬) তার নিকটাত্মীয়দের মধ্যে ৭০জনের সুপারিশ কবুল করা হবে। (তিরমিজি ১৬৬৩, ইবনু মাজাহ ২৭৯৯, মিশকাত ৩৮৩৪)
আজ জুমার দিন, জেনে নিন গুরুত্বপূর্ণ ৬ আমল