ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ন্যায়পরায়ণ শাসকের জন্য আখিরাতে বিশেষ পুরস্কার

আপডেট : ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৪০ এএম

আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে বিভিন্ন দায়িত্ব ও অবস্থানে বিভক্ত করে এই পৃথিবীর শৃঙ্খলা নিশ্চিত করেছেন। কেউ হয়েছেন শাসক, কেউ শাসিত। তবে শাসকদের জন্য রয়েছে বিশেষ দায়িত্ব এবং তার সঙ্গে ন্যায়পরায়ণতার স্পষ্ট নির্দেশনা।

পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে, শাসন ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি অপার নিয়ামত। আল্লাহ যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা দান করেন এবং যাকে ইচ্ছা তা কেড়ে নেন।

এই উক্তিটি পবিত্র কোরআনের সূরা আলে ইমরানের ২৬ নম্বর আয়াত থেকে নেওয়া হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে ‘তুমি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করো এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নাও... নিশ্চয়ই তুমি সব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।’ 

ন্যায়পরায়ণতার গুরুত্ব

শাসকের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে ইনসাফ কায়েম করা, জনগণের অধিকার আদায় এবং তাদের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কুরআনে বলা হয়েছে- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ইনসাফ, দয়া এবং আত্মীয়-স্বজনকে তাদের হক প্রদানের হুকুম দেন এবং অশ্লীলতা, মন্দ কাজ ও জুলুম করতে নিষেধ করেন।’ (সুরা নাহ্‌ল: ৯০)

এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, ইনসাফভিত্তিক শাসন ব্যবস্থাই আল্লাহর মনোনীত পথ।

আখেরাতে ন্যায়পরায়ণ শাসকের পুরস্কার

ন্যায়পরায়ণ শাসকের জন্য রয়েছে আখিরাতে বিশেষ পুরস্কার। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যেদিন কেউ কারও কাজে আসবে না, আল্লাহ তায়ালা বিশেষ সাত শ্রেণির মানুষকে তার আরশের ছায়ায় আশ্রয় দেবেন। তাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্যক্তি হবেন ন্যায়পরায়ণ শাসক।

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন- ‘আল্লাহ তাআলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তার (আরশের) ছায়া দান করবেন, যেদিন তার ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না। প্রথমজন হলেন ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ।’ (সহিহ বুখারি: ১৪২৩)

শাসন ক্ষমতা যেমন একটি দায়িত্ব, তেমনি ন্যায়পরায়ণতা বজায় রাখলে তা আখিরাতের জন্য হতে পারে অমূল্য পুরস্কারের মাধ্যম। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে, শাসকের সবচেয়ে বড় গুণ হওয়া উচিত ইনসাফ- যা কেবল পৃথিবীতে নয়, পরকালেও সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।

NB/AHA
আরও পড়ুন