ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যেখানে পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা ও শৃঙ্খলাকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দৈনন্দিন জীবনের অনেক বিষয়ের মতোই শরীর ও দেহ-সৌন্দর্য রক্ষার নিয়ম-নীতি ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে। এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত হলো- নখ কাটা।
তবে আমাদের সমাজে এ বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর ধারণা রয়েছে। যেমন, অনেকেই মনে করেন- নখ কাটলে অজু ভেঙে যায়। কিন্তু ইসলামিক শরীয়তের দৃষ্টিতে এই ধারণা ভ্রান্ত।
এ বিষয়ে জামিয়া ইকরার ফাজিল মুফতি ইয়াহইয়া শহিদ জানান, নখ কাটা, চুল ছাঁটা কিংবা শরীরের লোম পরিষ্কার করার কারণে অজু ভাঙে না। অজু ভঙ্গের বিষয়গুলোর মধ্যে এগুলোর কোনো উল্লেখ নেই।
ইসলামের প্রখ্যাত মনিষী হাসান বসরিকে (রহ.) যখন একই প্রশ্ন করা হয়, তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এই কারণে অজু নষ্ট হয় না।’ (সূত্র: মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা : ৫৭৬)
নখ কাটা নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য সুন্নত। সাধারণত সপ্তাহে একবার নখ কাটার কথা বলা হয়েছে (শরহুস সুন্নাহ)। তবে নখ কাটার নির্দিষ্ট কোনো ধারাবাহিকতা বা ক্রম হাদিস দ্বারা নির্ধারিত নয়। ফকিহরা কিছু আদবের কথা বলেছেন, যেমন-
- ডান হাতের শাহাদাত আঙুল থেকে শুরু করে বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলিতে গিয়ে শেষ করা।
- সর্বশেষে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির নখ কাটা।
- তবে এসব নিয়ম আদব হিসেবে মানা গেলেও তা পালন না করলে কোনো গুনাহ হবে না।
নখ কাটা ইসলামের একটি পরিচ্ছন্নতামূলক সুন্নত। এটি করলে অজু ভেঙে যায়- এমন ধারণা ভিত্তিহীন এবং শরীয়তসম্মত নয়। ইসলামের সৌন্দর্যই হলো, এটি মানুষের জীবনকে সহজ ও বাস্তবসম্মত করে তোলে। তাই অহেতুক কুসংস্কার বা অজুহাত নয়, বরং সঠিক জ্ঞান ও আমলের মাধ্যমেই আমরা ইসলামের বিধান পালনে সচেষ্ট হই।
৫ ওয়াক্ত নামাজের সময়সূচি
নবীজির শেখানো ৭ গুণের প্রার্থনা