মহাকাশে আটকে পড়া সুনীতা উইলিয়ামস এবং ব্যারি বুচ উইলমোরকে ফিরিয়ে আনতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পৌঁছেছে স্পেস এক্সের মহাকাশযান। রোববার (১৬ মার্চ) সকালে মহাকাশযানটি স্টেশনে পৌঁছার পর তার দরজা খুলতে এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।
এই ক্রু-১০ মিশনটি মহাকাশচারী জুটিকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রথম পদক্ষেপ। স্পেস এক্সের ফ্যালকন ৯ রকেটটি শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩ মিনিটে ফ্লোরিডার নাসার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে চারজন নভোচারীকে নিয়ে উড্ডয়ন করে। তারা হলেন অ্যান ম্যাকক্লেইন, নিকোল আয়ার্স, জাপানের মহাকাশ সংস্থার নভোচারী তাকুয়া অনিশি ও রুশ নভোচারী কিরিল পেসকভ।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তার সঙ্গী বুচ উইলমোরকে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনবে এই মহাকাশযান। গত ৯ মাস ধরে তারা মহাকাশে আটকে আছেন।
নাসা সূত্রে খবর, গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই মহাকাশযানের দরজা খুলে যায় না। আগে নিরাপত্তা এবং বহিরাগত চাপ সংক্রান্ত কিছু পরীক্ষানিরীক্ষা করতে হয়। তার জন্য ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছে। তার পরেই বেরিয়ে আসেন ওই চারজন।
নাসার নভোচারী সুনীতা ও বুচার গত বছরের জুন মাস থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন। তারা মাত্র আট দিনের এক মহাকাশ মিশনে সেখানে যান; কিন্তু বোয়িংয়ের স্টারলাইনার মহাকাশযানে ত্রুটির কারণে তারা মহাকাশ স্টেশনে আটকা পড়েন। গত ফেব্রুয়ারি মাসে তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যায়।
নাসার তথ্য অনুযায়ী, ক্রু–১০ মিশন শুরুর পর আটকে পড়া দুই নভোচারী কয়েক দিনের মধ্যেই পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেন।
সুনীতা এবং বুচের সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরবেন নাসার নিক হেগ এবং রাশিয়ান নভোচর আলেকজান্ডার গর্বুনভ। কিছুদিন আগে ড্রাগন যানে চড়ে তারা মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন। আগামী বুধবার সুনীতাসহ চারজনকে নিয়ে আবার পৃথিবীর উদ্দেশে রওনা দেবে স্পেস এক্সের মহাকাশযানটি।
সূত্র: বিবিসি ও নাসা
