বার্সেলোনা সমর্থকরা এমন পরিণতি হয়তো স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি। প্রথম লেগের খেলায় ৩-২ গোলে এগিয়ে তাদের দল। ফিরতি লীগের ম্যাচ নিজেদের মাঠে। স্বাভাবিকভাবেই প্যারিস সেন্ত জার্মেইয়ের বিপক্ষে জয়ের স্বপ্নে বিভোর তারা। কত ব্যবধানে জয় তেমনটা হয়তো তারা ভাবছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে সেই ফিরতি ম্যাচে প্যারিস সেন্ত জার্মেই বার্সেলোনার স্বপ্ন ভঙ্গ করেছে। স্প্যানিশ ক্লাবটিকে ৪-১ গোলে নাস্তানাবুদ করেছে পিএসজি। ফলে ৬-৪ গোল গড়ে পিএসজি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে পৌঁছেছে।
কিলিয়ান এমবাপ্পে বার্সেলোনার মূল সর্বনাশটা করেছেন। জোড়া গোল করেছেন তিনি। অন্য দুই গোল করেছেন উসমানে দেম্বেলে ও ভিতিনহা। বার্সেলোনার হয়ে গোল করেন রাফিনহা।
নিজেদের মাঠের এ খেলায় সবকিছু বার্সেলোনার সমর্থকদের পরিকল্পনা মতো এগুচ্ছিল। বড় ব্যবধানে হারলেও ম্যাচের প্রথম গোল পেয়েছিল বার্সেলোনা। রাফিনহা মাত্র দ্বাদশ মিনিটে দলকে এগিয়ে নিয়েছিলেন। ফলে ৪-২ গোল গড়ে এগিয়ে যায় স্প্যানিশ ক্লাবটি। মাঠ জুড়ে তখন উল্লাস আর উল্লাস। তবে বার্সেলোনার সর্বনাশের মূল বীজটি বপন করা হয় ২৯ মিনিটে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ডালপালা ছড়িয়ে তা বার্সেলোনার স্বপ্নকে দুমড়ে মুচড়ে দেয়।
নিয়ম বহির্ভূতভাবে খেলার অপরাধে বার্সেলোনার রোনাল্ড আরাউজো ২৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন। আর এই সুযোগটা পুরোপুরি কাজ লাগায় পিএসজি। বলের দখল হারাতে থাকে স্বাগতিকরা। লাল কার্ডের কারণে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিছিয়ে পড়তে থাকে বার্সেলোনা। তবে এর আগে রবার্ট লেভানদোভস্কি গোলের সহজ একটা সুযোগ নষ্ট করেন। গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি। লেভানদোভস্কি এ গোলটি পেলে হয়তো ম্যাচের ফল ভিন্ন রকম হতে পারতো।
প্রথমার্ধের শেষ সময়ে পিএসজি প্রথম গোলের দেখা দেখা পায়। ৪০ মিনিটের সময় দেম্বেলে গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনেন। বিরতির আগে এ গোল পিএসজিকে যেনো নতুন জীবন দেয়। দ্বিতীয়ার্ধে তার পুরো উত্তাপটা টের পায় বার্সেলোনা। যার ফলে গোল পেতে বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি পিএসজিকে। ৫৪ মিনিটের সময় ভিতিনহা গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
দুই মিনিট পর মাঠে ঘটে ভিন্ন এক ঘটনা। রেফারির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে লাল কার্ড দেখেন বার্সেলোনা কোচ জাভি। সঙ্গে দলটির গোলরক্ষক কোচও লাল কার্ড দেখেন। ৬১ মিনিটে এমবাপ্পে পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে যান। আর ৮৯ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে সব সংশয় দূর করেন এই ফ্রেঞ্চ তারকা।
