ঢাকা
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৩ শ্রাবণ ১৪৩২

আইপিএল

পারলেন না রশিদ খান, পন্থের ঝড়ে দিল্লির জয়

আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪৭ এএম

সপ্তম ব্যাটার হিসেবে ডেভিড মিলার আউট হওয়ার সময় গুজরাট টাইটানসের প্রয়োজন ছিল ১৫ বলে ৪৪ রান। কঠিন সমীকরণ। তবে অষ্টম ব্যাটার রশিদ খান ভেবেছিলেন ভিন্ন কিছুই। ব্যাটটা চালাচ্ছিলেন সেভাবেই। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১৯ রান, মুকেশ কুমারের প্রথম ৫ বলে ১৪ রান তুলে গুজরাটকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন রশিদ খান। তবে প্রতিপক্ষের সংগ্রহকে শেষ পর্যন্ত টপকাতে পারেননি। শেষ বলে দরকার ছিল ৫ রান, কিন্তু বাউন্ডারি হয়নি দেখে সিঙ্গেলটাও সম্পন্ন করেননি রশিদরা। দিল্লি ক্যাপিটালসের দেওয়া ২২৫ রানের লক্ষ্যে ২২০ রানেই আটকে গেছে গুজরাট। এ জয়ে গুজরাটকে টপকে ছয়ে উঠে এসেছে এ ম্যাচের আগে আটে থাকা দিল্লি।

বড় লক্ষ্যে দ্বিতীয় ওভারে শুবমান গিলকে হারালেও ঋদ্ধিমান সাহা ও সাই সুদর্শনের ৪৯ বলে ৮২ রানের জুটিতে শক্ত একটা ভিত পায় গুজরাট। দিল্লির বাজে ফিল্ডিংয়ের সহায়তা পাওয়া সুদর্শন খেলেন ৩৯ বলে ৬৫ রানের ইনিংস। চারে আসা আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের পর শাহরুখ খান বা রাহুল তেওয়াতিয়াও তেমন কিছু করতে পারেননি। ৪ ওভার বাকি থাকতে ১৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে গুজরাট ধুঁকছিল।

ডেভিড মিলারের ঝড় সেখান থেকে টেনে তোলে তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা সতীর্থ আনরিখ নর্কিয়ার করা ১৭তম ওভারে ২৪ রান তুলে সমীকরণটা নাগালের মধ্যে রেখেছিলেন মিলার। কিন্তু ১৮তম ওভারের তৃতীয় বলে মুকেশ কুমারের বলে ডিপ স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে থামতে হয় তাঁকে ২৩ বলে ৫৫ রান করে। এরপর সাই কিশোর ও রশিদ বেশ কাছে নিয়ে গেলেও দলকে জয়টা এনে দিতে পারেননি।

এর এগে ঋষভ পন্তের ৪৩ বলে ৮৮ রানের অপরাজিত ইনিংসের সঙ্গে অক্ষর প্যাটেলের ৪৩ বলে ৬৬ ও ট্রিস্টান স্টাবসের ৭ বলে ২৬ রানের ক্যামিওতে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে দিল্লি তোলে ২২৪ রান। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা দিল্লি পাওয়ারপ্লেতে জেক ফ্রেজার-ম্যাগার্ক, পৃথ্বি শ ও শেই হোপকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল। সেখান থেকে তাদের টানে পন্ত ও তিনে নামা অক্ষরের ৬৮ বলে ১১৩ রানের জুটি।

শেষ দিকে দিল্লি দেয় বড় একটা লাফ। শেষ ৫ ওভারেই আসে ৯৭ রান, এর মধ্যে মোহিতের ৩ ওভারে ওঠে ৬১ রান। ৪ ওভারে ৭৩ রান দিয়ে আইপিএলের ইতিহাসের সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড গড়েছেন মোহিত শর্মা।

প্রথম ৩ ওভারে ৪২ রান দেওয়া মোহিতই করতে এসেছিলেন ইনিংসের শেষ ওভার। প্রথম বলে পন্ত নেন ডাবলস, পরের বলটিতে ওয়াইড করেন মোহিত। ২০তম ওভারে মোহিতের বিপক্ষে পন্তের পরের ৫ বলের স্কোরিং শট ছিল এমন—ছক্কা, চার, ছক্কা, ছক্কা, ছক্কা। ফলে শেষ ওভারেই আসে ৩১ রান। ৩৪ বলে ফিফটি করা পন্ত তাঁর শেষ ৯ বলে তোলেন ৩৩ রান। এবারের মৌসুমে তৃতীয় ফিফটি করা পন্তের এটিই সর্বোচ্চ স্কোর।

 
AH
আরও পড়ুন