আগের ম্যাচে লজ্জায় ডুবেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। লক্ষ্মৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে শেষ ওভারে ১৭ রান ডিফেন্ড করতে গিয়ে পারেননি। তাকে উড়িয়ে দিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নিয়েছিল লক্ষ্মৌ। সেই দুঃসহ স্মৃতি ভুলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়ালেন মোস্তাফিজ। ঘুরে দাঁড়াল তাঁর দল চেন্নাই সুপার কিংসও। রোববার (২৮ এপ্রিল) ঘরের মাঠ এমএ চিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে হায়দরাবাদকে ৭৮ রানে হারাল চেন্নাই। বড় জয়ে আবারও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ তিনে উঠেছে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
লক্ষ্ণৌর বিপক্ষে ৩ বলেই ১৯ রান দেওয়া মোস্তাফিজ এ ম্যাচে ২.৫ ওভার বল করে দিয়েছেন ১৯ রান; ইকোনমি রেট ৬.৭০। নিজের তৃতীয় আর ইনিংসের ১৯তম ওভারে ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশি পেসারই চেন্নাইয়ের জয় নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়ের ৯৮ ও ড্যারিল মিচেলের ফিফটিতে ৩ উইকেট হারিয়ে ২১২ রান করেছিল চেন্নাই। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদ ৭ বল বাকি থাকতে অলআউট হয়েছে ১৩৪ রানে।
আগের ম্যাচে ১০৮ রানে অপরাজিত ছিলেন গায়কোয়াড়। এ ইনিংসটির পর এবারের আসরে শীর্ষ রান সংগ্রাহকদের তালিকায় তিনি দুইয়ে উঠে এসেছেন। ৯ ম্যাচে ৪৪৭ রান গায়কোয়াড়ের। শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলি ১০ ম্যাচে করেছেন ৫০০ রান।
‘২০তম ওভারের রাজা’ মহেন্দ্র সিং ধোনি এ ম্যাচেও ইনিংসের শেষ ওভারেই নেমেছিলেন। ২ বলে ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। এবারের আইপিএলে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ব্যাট করে প্রতিবারই অপরাজিত থাকলেন ধোনি।
বোলিংয়ে মোস্তাফিজের মতো মাতিশা পাতিরানাও আজ ২ উইকেট নিয়েছেন। তবে কাজের কাজটা করেছেন তুষার দেশপাণ্ডে। ২৮ বয়সী বয়সী এ পেসার নিয়েছেন ৪ উইকেট, এর মধ্যে পাওয়ারপ্লেতেই ৩টি।
বোলারদের ঘুম কেড়ে নেওয়া ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মা এ ম্যাচে দেশপাণ্ডের বলেই ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই আউট হয়েছেন। কোনো রান করার আগে ফিরিয়েছেন ইমপ্যাক্ট খেলোয়াড় আনমোলপ্রীত সিংয়ের। পরে নিয়েছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
চেন্নাই সুপার কিংস: ২০ ওভারে ২১২/৩ (গায়কোয়াড় ৯৮, মিচেল ৫২, দুবে ৩৯*; ভুবনেশ্বর ১/৩৮, উনাদকাট ১/৩৮, নটরাজন ১/৪৩)
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৮.৫ ওভারে ১৩৪ (মার্করাম ৩২, ক্লাসেন ২০, সামাদ ১৯; দেশপাণ্ডে ৪/২৭, পাতিরানা ২/১৭, মোস্তাফিজ ২/১৯)
ফল: চেন্নাই সুপার কিংস ৭৮ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
