ট্রায়ালে প্রবাসী ফুটবলারদের প্রথম দিনটা কেমন কাটবে, তা নিয়ে মোটামুটি একটা পাকা ধারণা সবার ছিল বলা যায়। দিনশেষে সেটাই প্রতিফলিত হয়েছে। ৩১ ডিগ্রি তাপমাত্রার গরমে হাসফাস অবস্থা ফুটবলারদের। অনুশীলন শেষে প্রায় সবারই ছিল একই অভিযোগ।
দুই সেশনে ভাগ করে আজ শুরু হয়েছে বাফুফে ‘নেক্সট গ্লোবাল স্টার’ খোঁজার মিশন। ১৪ দেশ থেকে এসেছেন ৪৮ ফুটবলার। দেশের বাইরে বেড়ে উঠলেও সবার লক্ষ্য আপাতত এক- ট্রায়ালে টিকে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপানো। কিন্তু শীতপ্রধান দেশ থেকে এসে তাদের প্রথম চ্যালেঞ্জটা আপাতত আবহাওয়ার সঙ্গে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা উইঙ্গার আমির সামিও তাই জানালেন আবহাওয়ার সঙ্গে সখ্যতা না থাকার কথা, ‘গরম ছিল। বাফুফে আমাদের অনেক যত্ন নিচ্ছে। যেহেতু ভিন্ন দেশ থেকে এসেছি, এখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত নই।’ ইতালি থেকে আসা আরেক উইঙ্গার ইয়াসিন হোসেনও ক্লান্ত হয়ে পড়েন, ‘ট্রায়াল দারুণ ছিল। তবে আবহাওয়া খুব গরম থাকায়, খুব ক্লান্ত ছিলাম। আমি আত্মিবিশ্বাসী ট্রায়ালে টেকার জন্য।’
গরমকে পাশ কাটিয়ে ‘অ্যাডভেঞ্চারের’ অপেক্ষায় আয়ারল্যান্ড থেকে আসা উইঙ্গার ফাইয়াজ আহমেদ ‘এখানকার মূল সমস্যা হলো আবহাওয়া, মানিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। আশা করি দিন গেলে উন্নতি করব। আগামীকাল আরও এক অ্যাডভেঞ্চারের জন্য মুখিয়ে আছি।’
গরম ফুটবলাররা অস্বস্তিতে পড়লেও পারফরম্যান্সের মূল্যায়নে তা খুব একটা প্রভাব ফেলবে না বলে জানিয়েছেন বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর সাইফুল বারী টিটু। তিনি বলেন, ‘গরম ও আর্দ্রতার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটা বড় চ্যালেঞ্জের। তবে কাল আমরা তাদের বলেছি আবহাওয়ার বাধা যেহেতু আছে, তাই সেটা বিবেচনায় রেখে আমরা মূল্যায়ন করব। চিন্তার কিছু নেই। তারা যে আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে এসেছে, সেটা আমরা ইতিবাচকভাবে নিয়েছি, যেন তারা ভবিষ্যতেও চিন্তা করে। কিছু কিছু খেলোয়াড়ের পজিশনাল খেলা আমরা নজরে রাখছি। উন্নতির জায়গাটা আমরা জানিয়ে দেব।’
পারফরম্যান্স মূল্যায়নের প্যানেলের আরেক সদস্য ছাইদ হাসান কাননের চোখে ধরা পড়েছে ফুটবলারদের ফিটনেসের ঘাটতি। বাফুফে নির্বাহী কমিটি সদস্য বলেন, ‘সকালের সেশনে খুব গরম ছিল। তাদের ফুটবল সেন্স ভালো তবে ফিটনেসে একটু ঘাটতি রয়েছে। তারপরও তাদের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। শারীরিক ভাবে ফিট মনে হয়নি, আরও সময় লাগবে। মিডফিল্ড, স্ট্রাইকার ও ডিফেন্ডার সেভাবে দেখতে পারিনি। আমার মনে হয়, কাল তারা আরও ভালো করবে।’
জাতীয় স্টেডিয়ামে সকাল-বিকাল দুই সেশনে দেখা গেছে জাতীয় দলের হেড কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে। ট্রায়ালে তাঁকে পর্যবেক্ষক ভূমিকায় রাখা হয়েছে।
