ব্যালন ডি'অর হলো একটি বার্ষিক ফুটবল পুরস্কার যা ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিন কর্তৃক প্রদান করা হয়। প্যারিস সেন্ট জার্মেইন (পিএসজি) তারকা ২৮ বছর বয়সী উসমান দেম্বেলে এ বছর ব্যালন ডি’অর জিতেছেন। এর মাধ্যমে তিনি ইতিহাসে চতুর্থ মুসলিম খেলোয়াড় হিসেবে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার অর্জন করলেন।
দেম্বেলে পিএসজির হয়ে দারুণ এক মৌসুম কাটান। তিনি ৩৫টি গোল করেন এবং ১৬টি অ্যাসিস্ট দেন। তার নেতৃত্বে পিএসজি জিতেছে তিনটি শিরোপা— লিগ ওয়ান, কুপ দ্য ফ্রান্স এবং ক্লাবের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ।
চ্যাম্পিয়নস লিগে তিনি একাই করেছেন ৮টি গোল। গ্রুপ পর্বে হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি ম্যানসিটি, লিভারপুল ও আর্সেনালের বিপক্ষেও ছিলেন নির্ধারক খেলোয়াড়।
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসের ‘থিয়েত্র দু শাতলে’ হলে ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন। দেম্বেলে এ মুহূর্তকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করেন এবং তার সতীর্থ ও পরিবারকে উৎসর্গ করেন।
তিনি এখন যোগ দিলেন আরও তিনজন মুসলিম ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর কাতারে, করিম বেনজেমা, রিয়াদ মাহরেজ এবং রাবাহ মাদজের। একসময় ইনজুরিতে ভোগা দেম্বেলে এখন নিজেকে প্রমাণ করেছেন বিশ্বের অন্যতম সেরা আক্রমণভাগের খেলোয়াড় হিসেবে। এই অর্জন ফ্রান্সকেও দিয়েছে ষষ্ঠ ব্যালন ডি’অর জয়ীর স্বীকৃতি।
এদিকে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানা বোনমাতি।
ব্যালন ডি’অর (Ballon d’Or) বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তিগত ফুটবল পুরস্কার। ১৯৫৬ সালে প্রথম দেওয়া হয়, পরিকল্পনাকারী ছিলেন সাংবাদিক গাব্রিয়েল আনো। শুরুতে শুধু ইউরোপীয় খেলোয়াড়দের জন্য হলেও ২০০৭ সাল থেকে এটি বিশ্বব্যাপী সকল খেলোয়াড়ের জন্য উন্মুক্ত। ২০১০-২০১৫ সালে ফিফার সঙ্গে একীভূত হয়ে ছিল ফিফা বালোঁ দর, পরে আবার আলাদা হয়ে যায়।
ব্যালন না জিতলেও অন্য যে পুরস্কার পেলেন ইয়ামাল