ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

ভারতকে সুবিধা দিয়ে ফিক্সচার করছে পাকিস্তান

আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১২:০১ পিএম

প্রবাদ আছে শিল-পাটায় ঘঁষাঘঁষি, প্রাণ যায় মরিচের। ঠিক একই অবস্থা ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ভক্তদের। দুই দেশের রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে ক্রিকেট ভক্তদের অবস্থা বারোটা বাজার মতোই। দুই দেশের দ্বন্দ্বের কারণে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেট ভক্তদের পাকিস্তান-ভারত ক্রিকেট লড়াই দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। 

পাকিস্তান  অবশ্য দুই দেশের দ্বৈরথ শুরুর চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু ভারত সে পথে হাঁটছেই না।  ভারতকে পাকিস্তানের মাটিতে খেলানোর জন্য অনেক কিছুই করে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। ভারতীয় দর্শকরা যেন পাকিস্তানে গিয়ে সহজেই খেলা দেখতে পারেন, সেজন্য আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের সবগুলো ম্যাচ লাহোরে আয়োজনের কথাও জানিয়েছে পিসিবি।

২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য এরইমধ্যে ভেন্যু ঠিক করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলে (আইসিসি) প্রস্তাব দিয়েছে পিসিবি। প্রস্তাবে তিনটি ভেন্যুর কথা জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। ভেন্যু তিনটি হলো- করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিণ্ডি।

ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে, আইসিসিতে পাকিস্তান যে ড্রাফট পাঠিয়েছে, সেখানে ভারতের সবগুলো ম্যাচে লাহোরে আয়োজনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ফাইনাল ম্যাচটিও হবে এই ভেন্যুতে। নিরাপত্তা সংকটের অজুহাতে প্রায় ১৭ বছর পাকিস্তানে খেলতে যায় না ভারত। এবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তানে গিয়ে খেলতে রাজি হচ্ছেন না রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিরা।

নিরাপত্তা নিয়ে যেন ভারত এবার প্রশ্ন না তোলে, সেজন্য দুই দেশের সীমান্তের কাছাকাছি শহর লাহোরে ম্যাচ আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছে পাকিস্তান। লাহোর এমন একটি জায়গায় অবস্থিত, যেখানে দুই দেশের মধ্যবর্তী ওয়াগা সীমান্ত খুবই কাছে। এই ভেন্যুতে ভারতীয় দর্শকরা সহজেই পাকিস্তান গিয়ে খেলা দেখতে পারবে।

ড্রাফটে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রস্তাব দিয়েছেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নকভি। এই আসরে অংশ নেবে বাংলাদেশসহ মোট ৮টি দেশ। ভারত খেলতে যাবে কি যাবে না, এটিই এখন সবচেয়ে বড় সংকট। 

২০০৮ সালের পর আর পাকিস্তানের মাটিতে কোনো ম্যাচ খেলেনি ভারত। ওই বছর ভারতের মুম্বাইয়ে হামলার ঘটনার পর থেকে দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হতে থাকে। এরপর সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগ নিলেও তা বাস্তব রূপ লাভ করেনি। একই কারণে অন্য দেশগুলো পাকিস্তান এড়িয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু একে একে সব দেশই পাকিস্তান সফর করলেও ভারত গো ধরে বসে আছে।

গত বছর এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতের সবগুলো ম্যাচ হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। অর্থাৎ হাইব্রিড মডেলে আয়োজন করা হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। এবার সেই একই পথে হাঁটার কথা ভাবছে ভারত। তবে দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।

SN/AST
আরও পড়ুন