ওপেনিংয়ে স্বপ্নের শুরু যাকে বলে, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চতুর্থ ম্যাচে এসে সেই শুরুই পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দলীয় ১১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় শত রানের দেখা পেয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি ভাঙে ১০১ রানে ইনিংসের ১২ তম ওভারে এসে। এমন দাপুটে শুরুর পরও পথ হারিয়েছে বাংলাদেশ। মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যর্থতায় বাংলাদেশে গুঁটিয়ে গেছে মাত্র ১৪৩ রানে।
মিরপুরে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলা বাংলাদেশ, একাদশে তিন পরিবর্তন আনে। এরপর পেয়ে যায় শুরুতে ব্যাটিং। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিং ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ পায় বাংলাদেশ। সেই সুযোগ কাজেও লাগান দুই ওপেনার। চোট থেকে ফেরা সৌম্য কিছুটা সময় নিলেও রানের চাপে পড়তে দেননি আরেক ওপেনার তানজিদ তামিম। ব্যাট হাতে রান তোলায় নেতৃত্ব দিয়ে সিরিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন তিনি।
ফিফটির পরপরই রাজাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ব্রায়ান বেনেটকে ক্যাচ তুলে দেন তামিম। তবে সহজ সেই ক্যাচও লুফে নিতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ইনিংসটাকে আরও বড় করার সুযোগ পেয়ে যান তামিম। তবে সেই সুযোগ এদিন কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ফিরেছেন ৩৭ বলে ৫২ রান করে। এরপর একই ওভারে ফিরে যান তার সঙ্গী সৌম্য সরকারও। তার ব্যাট থেকে আসে ৩৪ বলে ৪১ রান।
সিরিজ জুড়ে দারুণ খেলা তাওহিদ হৃদয় ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পান এ ম্যাচে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ৮ বলে ১২ রান করে ফেরেন সাজঘরে। এরপর ১০ মাস পর খেলতে নামা সাকিব আল হাসানও ফিরে যান হতাশ করে। ৩ বলে ১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। সিরিজ জুড়ে ব্যর্থ নাজমুলের জ্বলে উঠার অপেক্ষায় ছিল সমর্থকরা। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি তিনিও। ১০১ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ ১৩০ রানে এসে হারায় ৭ উইকেট। বড় সংগ্রহের পথ থেকে সরে আসতে হয় বাংলাদেশকে।
মিডল অর্ডারের ব্যর্থতার দিনে শেষ দিকে লোয়ার অর্ডারও দায়িত্ব নিতে পারেনি। বাংলাদেশেও তাই দেড়শ ছুঁতে পারেনি। বাংলাদেশের অলআউট হয় ১৯.৫ ওভারে ১৪৩ রানে। জিম্বাবুয়ে বোলারদের মধ্যে লুক জংওয়ে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট তুলেন এনগারাভা ও বেনেট।
