প্রতিপক্ষের সামনে মাত্র ২০৫ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রাটা দাঁড় করাতে পেরেছিল শ্রীলঙ্কা। দ্বিতীয় ইনিংসে তারা ৩৫৮ রানের ভালো একটা স্কোর করলেও প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতা তাদেরকে পেছনে ঠেলে দিয়েছিল। তারপরও লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল শ্রীলঙ্কা। শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেনি। জো রুটের চমৎকার ব্যাটিং শ্রীলঙ্কাকে হতাশ করেছে। ফলে ম্যানচেস্টার টেস্টে শ্রীলঙ্কা হেরেছে ৫ উইকেটে। তাদের এই হারে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ শেষে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ১-০ তে এগিয়ে গেল।
২০৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১১৯ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়েছিল ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার সামনে তখন একটা স্বপ্নও জ্বলে উঠেছিল। কিন্তু জো রুট শক্ত হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। হ্যারি ব্রুকের সঙ্গে যেমন একটা ভালো জুটি তিনি গড়েছেন, তেমনি জেমি স্মিথের সঙ্গেও। চতুর্থ উইকেটে ব্রুকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ৫০ রানের। আর স্মিথের সঙ্গে ৬৪ রানের। মূলত এই দুই জুটিই শ্রীলঙ্কার স্বপ্ন ভেঙ্গে দেয়।
রুট ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১২৮ বল খেলেছেন তিনি। কতটা ধীর স্থিরভাবে তিনি দলকে সামলে নিয়েছেন তা তার ব্যাটিং দেখলেই বোঝা যাবে। ৬২ রানের এই ইনিংসটা খেলতে তিনি কোনো তাড়াহুড়া করেননি। বরং ধৈর্যের এক প্রতীক হয়ে ছিলেন। মাত্র দুটো বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
এর আগে দিনের শুরুতে মাত্র ৩২৬ রানে শেষ হয়েছিল শ্রীলঙ্কার দ্বিতীয় ইনিংস। কামিন্দু মেন্ডিসের সেঞ্চুরিতে এই সংগ্রহ ছিল শ্রীলঙ্কার। ১৮৩ বলে তিনি এই ইনিংসটি খেলতে ১৫টি বাউন্ডারি মেরেছিলেন। ওভার বাউন্ডারি ছিল একটি। শ্রীলঙ্কার শেষ দিকের ব্যাটাররা যদি দলের সংগ্রহে একটু অবদান রাখতে পরতো তাহলে হয়তো লড়াইটা আরও জমজমাট হতে পারতো। শেষ চার ব্যাটারে সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৫ রান। তাদের মধ্যে দুইজন রানের খাতা খুলতেই পারেননি।
