নানা বিতর্কের পরও এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) আলো ছড়িয়েছেন ক্রিকেটাররা। সদ্য সমাপ্ত আসরে আলোচনার কেন্দ্রে ছিল স্থানীয় ক্রিকেটারদের দাপুটে পারফরম্যান্স। ব্যাটিং ও বোলিং তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করে দেশি খেলোয়াড়রা প্রমাণ করেছেন, উপযুক্ত উইকেট পেলে আন্তর্জাতিক মানের পারফরম্যান্স করতে পারেন তারাও।
এবারের আসরে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন নাঈম শেখ। ৫১১ রান নিয়ে তিনি ব্যাটিং তালিকার শীর্ষে আছেন, যেখানে শীর্ষ দশের মধ্যে নয়জনই বাংলাদেশি ব্যাটার! বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্থানীয় ব্যাটারদের এমন আধিপত্য দেখা গেল। শুধু ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও স্থানীয়দের জয়জয়কার। সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নিয়ে শীর্ষস্থান দখল করেছেন তাসকিন আহমেদ। বিপিএলের এক আসরে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার নতুন রেকর্ডও গড়েছেন এই পেসার।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব নাজমুল আবেদীন ফাহিম মনে করেন, স্থানীয়দের এমন পারফরম্যান্সের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে ভালো উইকেট। এবার স্পোর্টিং উইকেট তৈরির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, যার ফলে ব্যাটসম্যান ও বোলার উভয়েই নিজেদের দক্ষতা দেখানোর সুযোগ পেয়েছেন।
গণমাধ্যমে ফাহিম বলেন, ‘আমাদের ক্রিকেটাররা প্রায়ই বলে, পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা বাড়াতে না পারার জন্য উইকেট দায়ী। এবার ভালো উইকেট পাওয়ার পর দেখা গেল, বাংলাদেশি ব্যাটাররা ছক্কা মারতে পারে, স্ট্রাইক রেট বাড়াতে পারে।’
এই আসরে বিশেষ করে নাইম শেখ, পারভেজ হোসেন ইমন, তানজিদ হাসান তামিম, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও নুরুল হাসান সোহানের মতো ব্যাটসম্যানরা নিজেদের পাওয়ার-হিটিং দক্ষতা দেখিয়েছেন।
পুরো আয়োজন ঘিরে সন্তুষ্ঠ বোর্ড। বোর্ড পরিচালক ফাহিম এনিয়ে আরও বলেন, ‘বিপিএল ভালো হয়েছে এবং আমরা যা চেয়েছিলাম, তা পেয়েছি। ভবিষ্যতে আরও উন্নতি করতে পারবো বলে আশা করছি আমরা।’
