আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নবম আসরের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুধবার (৫ মার্চ) মুখোমুখি হবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের লাহোরে বাংলাদেশ সময় দুপুর ৩টায় শুরু হবে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনাল।
দীর্ঘ ১৯ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে মুখোমুখি হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড। ২০০৬ সালে সর্বশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দু’দল।
চলতি আসরে ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় প্রোটিয়ারা।
এই নিয়ে ষষ্ঠবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৯৯৮ সালে প্রথম আসরেই সেমির স্বাদ নিয়ে টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয় প্রোটিয়ারা। এরপর ২০০০, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৩ সালে শেষ চার থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
তাই ২৭ বছর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে খেলতে না পারার বন্ধ্যাত্ব ঘোচাতে চায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
দলের অধিনায়ক তেম্বা বাভুমা বলেন, ‘এই টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের ফাইনাল খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর আর কখনও সেমিফাইনাল বাঁধা টপকাতে পারেনি প্রোটিয়ারা। এবার আমাদের সামনে ফাইনালে ওঠার সেরা সুযোগ। আমরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না।’
৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে সেমিফাইনালে নাম লেখায় নিউজিল্যান্ড। প্রথম দুই ম্যাচে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে হারালেও, শেষ ম্যাচে ভারতের কাছে হেরে যায় গ্রুপ রানার্স-আপ হয় কিউইরা।
এই নিয়ে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলছে নিউজিল্যান্ড। ২০০০ সালে দ্বিতীয় আসরে প্রথমবার সেমিতে উঠেই শিরোপা জিতে নেয় কিউইরা। এরপর ২০০৬ সালে সেমিফাইনাল এবং ২০০৯ সালে ফাইনাল খেলে রানার্স-আপ হয় ব্ল্যাক-ক্যাপসরা।
১৬ বছর পর আবারও ফাইনালে খেলার হাতছানি নিউজিল্যান্ডের সামনে। এবার ফাইনাল খেলার ব্যাপারে আশাবাদি কিউইরা।
দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার টম লাথাম বলেন, ‘আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে ওঠার সেরা সুযোগ আমাদের সামনে। আমরা জানি এই পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য কতটা কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমরা জানি দক্ষিণ আফ্রিকা কতটা শক্তিশালী দল। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিংয়ে দারুন পারফরমেন্স করে তারা সেমিতে এসেছে। আমি নিশ্চিত, জমজমাট লড়াই হবে।’
এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৭৩বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা-নিউজিল্যান্ড। জয়ের পাল্লা ভারী প্রোটিয়াদের দিকে। ৪২ ম্যাচ জিতেছে তারা। ২৬ ম্যাচে জয় আছে নিউজিল্যান্ডের। ৫ ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।
নিউজিল্যান্ড দল : মিচেল স্যান্টনার (অধিনায়ক), মাইকেল ব্রেসওয়েল, মার্ক চাপম্যান, ডেভন কনওয়ে, ম্যাট হেনরি, টম লাথাম, ড্যারিল মিচেল, উইল ও’রুর্ক, গ্লে¬ন ফিলিপস, রাচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ার্স, নাথান স্মিথ, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়ং।
দক্ষিণ আফ্রিকা দল : তেম্বা বাভুমা (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, মার্কো জানসেন, হেনরিচ ক্লাসেন, কেশব মহারাজ, আইডেন মার্করাম, ডেভিড মিলার, উইয়ান মুল্ডার, লুঙ্গি এনগিডি, কাগিসো রাবাদা, রায়ান রিকেল্টন, তাবরাইজ শামসি, ট্রিস্টান স্টাবস, রাসি ফন ডার ডুসেন ও কর্বিন বশ।
