এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই একাধিক রেকর্ড

আপডেট : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:৫০ এএম

অপেক্ষার পালা শেষ করে এশিয়া কাপের সপ্তদশ আসরের পর্দা উঠেছে। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেশকিছু রেকর্ড দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৯৪ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আফগানিস্তান। যা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে তৃতীয় সর্বোচ্চ রানের ব্যবধানে জয় কিংবা হারের রেকর্ড। এছাড়াও টি-টোয়েন্টিতে ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি করেছেন ওমরজাই। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দেশটির হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড।

শেখ আবু জায়েদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ ‍উইকেটে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে আফগানিস্তান। তাদের পক্ষে ৫২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৩ রান করে সেদিকউল্লাহ অটল, এ ছাড়া আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২১ বলে ২ চার ও ৫ ছক্কায় ৫৩ রান করেন। হংকংয়ের কিঞ্চিত শাহ ও আয়ুশ শুকলা শিকার করেন ২টি করে উইকেট। পরে লক্ষ্য তাড়ায় নেমে মাত্র ৯৪ রানেই শেষ হংকংয়ের ইনিংস। তাদের পক্ষে বাবর হায়াত সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেন। বিপরীতে ফজলহক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব নেন ২টি করে উইকেট।

আগে ব্যাট করা আফগানদের হয়ে মাত্র ২০ বলে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন ওমরজাই। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দেশটির হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। এর আগে মোহাম্মদ নবি ২১ বলে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হজরতউল্লাহ জাজাই ২২ বলে আয়ারল্যান্ড এবং নাজিবউল্লাহ জাদরান ২২ বলে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ফিফটি করেছিলেন। তাদের রেকর্ড ভেঙেছেন ওমরজাই।

হংকং পুরো ২০ ওভার খেললেও ৯ উইকেটে ৯৪ রান তুলতে সক্ষম হয়। ফল তাদের হারটাও এসেছে ৯৪ রানে। রানের হিসাবে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ। এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১৫৫ রানে হারের নজিরও রয়েছে এই হংকংয়েরই। পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০২২ আসরে শারজাহতে ১৫৫ রানে হেরেছিল। একই আসরে ভারত ১০১ রানে হারিয়েছিল আফগানিস্তানকে। এ ছাড়া আরব আমিরাতের বিপক্ষে ওমান ৭১ এবং আফগানদের বিপক্ষে হংকংকে ৬৬ রানে হারিয়েছিল।

এদিকে, আফগান-আমিরাতের ম্যাচটিতে ক্যাচ মিসেরও রেকর্ড হয়েছে। উভয়পক্ষ দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮টি ক্যাচ ছেড়েছে। যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে যৌথভাবে সর্বোচ্চ ক্যাচ ছাড়ার কীর্তি। সমান ৮টি করে ক্যাচ মিস হয়েছে ২০২৪ সালে অস্ট্রেলিয়া বনাম স্কটল্যান্ডের ম্যাচে। এ ছাড়া ২০২৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচেও সমান ক্যাচ হাতছাড়া করেন ফিল্ডাররা।

SN