শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দারুণ লড়াই করেও জয়ের দেখা পেল না হংকং। এশিয়া কাপে ১৪৯ রান করে হংকং এবং বলিংয়েও শ্রীলঙ্কাকে ভয় দেখিয়ে ছিল। তবে তাদেরকে ভয়কে জয় করে নিয়ে মাত্র ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা।
আর শ্রীলঙ্কার এই জয়ে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচটি নকআউট ম্যাচ হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। টিকে থাকতে যে জিততেই হবে লিটনদের।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া শ্রীলঙ্কাকে চমকে দিয়ে ১৪৯ রান তুলে ফেলে হংকং। একটা সময় তো মনেই হচ্ছিল, হয়তো লঙ্কানদের হারিয়ে এশিয়া কাপে অঘটনের জন্ম দেবে হংকং। তবে শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞতার কাছে হেরে গেছে হংকংয়ের ক্রিকেটাররা। আর তিন ম্যাচের সবগুলোতে হেরে সবার আগে হংকংয়ের বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে।
ম্যাচের ১৫০ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর স্বচ্ছন্দে খেলতে পারছিল না লঙ্কান ব্যাটাররা। একমাত্র পাথুম নিশাঙ্কাই ছিলেন সাবলিল। অন্যরা নিয়মিত বিরতিতে উইকেট দিয়ে আসছিলেন হংকং বোলারদের হাতে। ১১ রানে কুশল মেন্ডিস, ১৯ রানে কামিল মিশারা আউট হয়ে যান। শেষ মুহূর্তে ১১৯ রানের মাথায় পাথুম নিশাঙ্কা আউট হওয়ার পর হঠাৎ যেন খেই হারিয়ে ফেলে লঙ্কানরা। ৪৪ বলে ৬৮ রান করে নিশাঙ্কা রানআউট হয়ে যান।

এরপরই কুশল পেরেরা উইকেট তুলে নেন ইয়াসিম মুরতাজা। চারিথ আশালঙ্কাকে ফিরিয়ে দেন এহসান খান। ইয়াসিম মুরতাজার বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হয়ে ফেরেন কামিন্দু মেন্ডিস। তবে শেষ মুহূর্তে মাঠে নেমে কাজের কাজটি করে দেন ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ৯ বলে তিনি করেন ২০ রান। ৬ রানে অপরাজিত থাকেন দাসুন শানাকা। শেষ পর্যন্ত ৭ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় লঙ্কানরা।
বল হাতে হংকং অধিনায়ক ইয়াসিম মুরতাজা নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আয়ুস শুকলা, এহসান খান ও আইজাজ খান।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছে হংকং। হংকংয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৫২ রান করে অপরাজিত ছিলেন নিজাকাত খান। ৪৬ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৮ রান করেছেন ওপেনার অংশুমান রাঠ। উদ্বোধনী জুটিতে জিশান আলীকে নিয়ে ৪.৫ ওভারেই ৪১ রান যোগ করেন রাঠ। জিশান ১৭ বলে করেছেন ২৩ রান।
শ্রীলঙ্কার হয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন পেসার দুষ্মন্ত চামিরা।
