বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে একের পর এক নাটকীয়তার মধ্যে এবার সরব হলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া। তিনি বর্তমান ক্রিকেটারদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়াকে চুক্তিভঙ্গ আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, ‘পৃথিবীর কোথাও সক্রিয় ক্রিকেটাররা বোর্ড নির্বাচন নিয়ে কথা বলে না। এটা পুরোপুরি কন্ট্রাক্ট ভায়োলেশন।’
আসিফ মাহমুদ মনে করেন, বাংলাদেশে বারবার ক্রিকেটারদের রাজনৈতিক বিভাজন বা নির্বাচন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোয় ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেটারদের দিয়ে দলাদলি করানো নতুন কিছু নয়। দুই বছর আগে, পাঁচ বছর আগে-আমরা এ দৃশ্য দেখেছি। এখনও হচ্ছে। যারা এগুলো করাচ্ছেন, তাদের আসলে লজ্জা পাওয়া উচিত।’
এর আগে ঢাকার ১৫ ক্লাবকে বাদ দিয়ে প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান বেশ কয়েকজন বর্তমান ক্রিকেটার। সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম, মুমিনুল হক, ইরফান শুক্কুর ও মোহাম্মদ মিঠুন নিজেদের ফেসবুক পেজে হুবহু একই বার্তা পোস্ট করে নির্বাচন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কোয়াব সভাপতি মিঠুন লিখেছেন, ‘বিসিবি নির্বাচন ঘিরে যা কিছু ঘটছে, তা কখনোই কাম্য নয়। এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের সঙ্গে সম্পর্কিত। আমরা চাই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হোক।” সাবেক জাতীয় দলের পেসার রুবেল হোসেনও স্বচ্ছ নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে লিখেছেন, “বোর্ড প্রেসিডেন্ট আসা-যাওয়া যেন ক্রিকেটের টসের মতো। তবে নির্বাচন হোক সুন্দর পরিবেশে, যেখানে জয়ী হবে কেবল ক্রিকেট।’
নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে এরই মধ্যে হয়েছে রিট ও আদালতের স্থগিতাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের আদেশে এগিয়ে যায় প্রক্রিয়া। গত ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয় প্রাথমিক ভোটার তালিকা, আর ২৬ সেপ্টেম্বর আসে চূড়ান্ত তালিকা। সেখানেই ফিরেছে বাদ পড়া ঢাকার ১৫ ক্লাব।
বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুসারে, তিনটি ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হবেন মোট ২৩ জন পরিচালক। পরে এই ২৩ জনের সঙ্গে মনোনীত ২ পরিচালক যোগ দিয়ে ২৫ পরিচালকের ভোটে নির্বাচন করবেন বোর্ড সভাপতি। আগামী ৬ অক্টোবর হবে বহুল আলোচিত এই নির্বাচন।
