ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বাইশ বছর পর মিরপুরে আসিফ আকবর, এবার নতুন চ্যালেঞ্জ

আপডেট : ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:১২ পিএম

ক্রিকেটের প্রতি গায়ক আসিফ আকবরের ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। সঙ্গীতজগতে সাফল্যের পাশাপাশি খেলাধুলার সঙ্গে তার সম্পর্কের গল্পও অনেক পুরোনো। তবে গত দুই দশক ধরে ব্যস্ত জীবনের কারণে আর মিরপুরের ক্রিকেটাঙ্গনে তার পদচিহ্ন পড়েনি। অবশেষে ২২ বছর পর আবার ফিরে এলেন তিনি সেই পরিচিত মাঠে, যেখানে একসময় তাঁর নিজের হাতেই স্থাপিত হয়েছিল প্রথম সাউন্ড সিস্টেম।

২০০৩ সালে বিসিবির হাইপারফরম্যান্স ইউনিটে দায়িত্বে ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো। তখনই মিরপুরের মাঠে প্রথম সাউন্ড সিস্টেম স্থাপনের কাজ করেছিলেন আসিফ নিজে। আজ সেই একই মাঠে দাঁড়িয়ে তিনি স্মৃতিমগ্ন হয়ে বলেন, ‘এই মাঠের প্রত্যেকটা ইঞ্চি আমার চেনা। এখানে অনেক সময় কেটেছে, অনেক আবেগ জমে আছে।’

গত ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচনের সময় আসিফ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকেই অনলাইনে অংশ নেন এবং চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে পরিচালক নির্বাচিত হন। দেশে ফেরার পর আর অপেক্ষা করেননি-পরদিনই চলে এলেন বিসিবির কার্যালয়ে।

‘গতকাল দেশে ফিরেছি, ভাবলাম আর দেরি কেন! একটা দায়িত্ব হাতে পেয়েছি, তাই সকালে চলে এলাম বিসিবিতে,’ বলেন দেশের জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। তার কণ্ঠে ফুটে উঠেছিল দায়িত্বের গুরুত্ব, আর চোখে ঝিলিক দিচ্ছিল পুরনো মাঠে ফেরা এক আবেগঘন মুহূর্তের আনন্দ।

কিন্তু শুধু উপস্থিতির মধ্যেই থেমে থাকছেন না তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে শক্তিশালী করার স্বপ্ন নিয়েই তৈরি করেছেন নিজের পরিকল্পনা। বিশেষ করে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়েই তার মনোযোগ সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, ‘আমরা অনূর্ধ্ব–১৯ দলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, কিন্তু তাদের অনেকেই জাতীয় দলে নিজেদের জায়গা তৈরি করতে পারেনি। কোথায় যেন একটা গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। সেটা বুঝে ঠিক করাই এখন জরুরি।’

ভারতের ক্রিকেট কাঠামোর উদাহরণ টেনে আসিফ বলেন, ‘ভারতে প্রতিটি পজিশনের জন্য চার-পাঁচজন বিকল্প থাকে। ওদের পাইপলাইন এত শক্তিশালী যে কেউ বাদ পড়লেও নতুনরা প্রস্তুত। বাংলাদেশেরও সেই পথেই হাঁটা দরকার।’

তিনি বিশ্বাস করেন, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটই ভবিষ্যতের শক্ত ভিত্তি। তাই তার লক্ষ্য-নতুন প্রজন্মের ক্রিকেটারদের এমনভাবে গড়ে তোলা, যাতে এক জায়গার জন্য প্রতিযোগিতা হয় একাধিক যোগ্য খেলোয়াড়ের মধ্যে। ‘বাচ্চারাই ভবিষ্যতের ক্রিকেটার। যারা বয়সভিত্তিক দলে কাজ করেন, তারাই মূলত ভবিষ্যৎ গড়ছেন। আমি তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে চাই, সময় দিন, ভালো কিছু হবেই,’ বলেন আসিফ।

দীর্ঘ দুই দশক পর প্রিয় মাঠে ফিরে আসিফ আকবর যেন নতুন এক যাত্রা শুরু করলেন। গানের নয়, এবার বাংলাদেশের ক্রিকেটের সুর মিলিয়ে।

আরও পড়ুন