অলিম্পিক পুরুষ ফুটবলের ব্রোঞ্জ পদক যে আফ্রিকাতে যাচ্ছে তা আগেই চূড়ান্ত হয়েছিল। পদকটির জন্য লড়ছিল মরক্কো ও মিশর। তবে ম্যাচ যে এমন একতরফা হবে তা হয়তো কেউ ভাবেনি। মিসরকে উড়িয়ে দিয়ে মরক্কো প্যারিস অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয় করেছে। ৬-০ গোলে জয় মরক্কোর। সাউফিয়ানে রাহিমি জোড়া গোল করেছেন। এছাড়া স্কোরশিটে নাম লিখিয়েছেন আবদে ইজালজৌলি, বিলাল এল খানোউস, আকরাম নাকাচ ও আচরাফ হাকিমি।
জোড়া গোলের মাঝ দিয়ে সাউফিয়ানে রাহিমি তার গোল সংখ্যা আট করেছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় নিজের নামটি নিয়ে এসেছেন সবার উপরে। শুধু তাই নয়, গেমসের প্রত্যেক ম্যাচে অন্তত একটি করে গোল করার কীর্তি গড়েছেন। অলিম্পিক ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এ কীর্তি গড়েছেন তিনি।
অলিম্পিক ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচ এখনো বাকি। তবে এ পর্যন্ত পরিসংখ্যান অনুসারে রাহিমির হাতে উঠতে যাচ্ছে সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার। আট গোল তার। গোল সংখ্যায় তার ধারেকাছে কেউ নেই। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন স্পেনের ফারমিন লোপেজ ও ফ্রান্সের জা ফিলিপে মাতেতা। উভয়ের গোল সংখ্যা চার।
আক্রমণ আর প্রতিআক্রমণে খেলাটা দারুণ উপভোগ্য করে তুলেছিল মিশর ও মরক্কো। উভয় দলই একাধিক সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু ছোট্ট একটা ঝড় মিসরকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। তিন মিনিটে দুই গোল মরক্কোকে সুবিধাজনক অবস্থায় পৌঁছে দেয়। আবদে ইজালজৌলি ২৩ মিনিটে ও সাউফিয়ানে রাহিমি ২৬ মিনিটে গোল করেন। মরক্কোর পরের চারটি গোল পায় দ্বিতীয়ার্ধে।
