ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবল

কখনো এতটা বাজে শুরু হয়নি ব্রাজিলের

আপডেট : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১১ এএম

বিশ্বকাপ বাছাই ফুটবলে একই দিনে হেরেছে দক্ষিণ আমেরিকার দুই জায়ান্ট আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল। বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা হেরেছে কলাম্বিয়ার কাছে। আর ব্রাজিল হেরেছে প্যারাগুয়ের কাছে।

এই হারে আর্জেন্টিনার খুব একটা সমস্যা হয়নি। হার সত্ত্বেও ৮ ম্যাচ শেষে দলটি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে। অন্যদিকে ব্রাজিল নেমে এসেছে পঞ্চম স্থানে। আট ম্যাচে ব্রাজিল চার ম্যাচে হেরেছে। যা বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে শুরুর তকমা এনে দিয়েছে। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর আর কখনো ব্রাজিল এতটা বাজে অবস্থায় পড়েনি।

২০২২ সালের বিশ্বকাপে অন্যতম ফেভারিট ছিল পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু খুব বেশিদূর তারা যেতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল। দলটির অন্যতম তারকা নেইমার অসাধারণ পারফরম্যান্সও ব্রাজিলকে টেনে তুলতে পারেনি।

২০২৪ সালের কোপা আমেরিকাতেও অব্যাহত ছিল ২০২২ সালের বিশ্বকাপের ব্যর্থতা। এখানেও খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। উরুগুয়ের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে যায় তারা। ব্যর্থতার সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বেও। তাদের ব্যর্থতার সুযোগে গত ১৬ বছরের মধ্যে প্যারাগুয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে।

প্যারাগুয়ে ব্রাজিলের বিপক্ষে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল ২০০৮ সালে। তারপর জয় পেল এবারের বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে। প্যারাগুয়ের কাছে এই হারে নাজুক অবস্থায় পাঁচবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। ৮ ম্যাচ থেকে তাদের পয়েন্ট মাত্র ১০।

বাছাই পর্বে প্যারাগুয়ের অবস্থা নাজুক। একের পর এক ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়েছে তারা। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তাদের ভান্ডারে ছিল একটা মাত্র জয়। ফলে কঠিন এক পরিস্থিতিতে তারা ব্রাজিলের মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু ম্যাচের ২০ মিনিটেই গোল করে তারা বিশ্বকে চমকে দেয়। চমকে দিয়েছিল নিজ দলের সমর্থকদের। সেই চমক তারা ম্যাচের শেষ বাঁশি পর্যন্ত ধরে রাখে।

বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে তো বটেই ব্রাজিলের ফুটবল বর্তমানে কতটা নাজুক অবস্থায় তা বোঝার জন্য একটা পরিসংখ্যা যথেষ্ট। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২০০৩ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত এই ১৯ বছরে তারা ৭১ ম্যাচ খেলে মাত্র পাঁচটিতে হেরেছে। আর এবার বাছাই পর্বে আট ম্যাচ খেলতেই চার ম্যাচে হারের তিক্ত স্বাদ হজম করতে হয়েছে।

MB/FI
আরও পড়ুন