আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্ববৃহৎ আসর ফিফা বিশ্বকাপ। আসরের ২০২৬-এর অফিসিয়াল ম্যাচ বল উন্মোচন করেছে অ্যাডিডাস। বলটির নাম রাখা হয়েছে ‘ট্রায়োন্ডা’ (TRIONDA)। নামটির স্প্যানিশ অর্থ ‘তিনটি তরঙ্গ’।
জার্মানির হার্জোগেনাউরাখ শহরে বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয় বলটির নাম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফুটবলের কিংবদন্তীরা, যাদের মধ্যে ছিলেন জার্মানির ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, ব্রাজিলের কাফু, ইতালির আলেসান্দ্রো দেল পিয়েরো, স্পেনের জাভি হার্নান্দেজ এবং ফ্রান্সের জিনেদিন জিদান।
ফিফার এই আইকনিক বলটি তৈরি করেছে বিশ্ববিখ্যাত ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। এ নিয়ে টানা ১৫ বারের মতো তারা ফিফা বিশ্বকাপের বল সরবরাহ করছে।
'ট্রাইওন্ডা' নামটি এসেছে দুটি শব্দ থেকে- ‘ট্রাই’ (অর্থ তিন) এবং ‘ওন্ডা’ (অর্থ ঢেউ)। ২০২৬ বিশ্বকাপ যেহেতু যৌথভাবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো আয়োজন করছে, তাই বলটিতে এই তিন দেশের ঐক্য ও উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বলের নকশায় লাল, সবুজ ও নীল এই তিন রঙের ঢেউ দিয়ে আয়োজক দেশগুলোকে বোঝানো হয়েছে।

ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেন, আপনাদের সামনে ট্রাইওন্ডা উপস্থাপন করতে পেরে আমি খুশি ও গর্বিত। বিশ্বকাপের জন্য অ্যাডিডাস আরেকটি আইকনিক বল তৈরি করেছে, যার নকশায় কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্য ও উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ট্রাইওন্ডা বলে ব্যবহৃত হয়েছে ফুটবল ইতিহাসের সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তি।
বলের নকশায় তিন আয়োজক দেশের জাতীয় প্রতীক যুক্তরাষ্ট্রের তারকা, কানাডার ম্যাপল পাতা এবং মেক্সিকোর ঈগল গ্রাফিকস আকারে খোদাই করা হয়েছে।
এতে সোনালি রঙের ছোঁয়া রাখা হয়েছে, যা বিশ্বকাপ ট্রফির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এবং এটি ফুটবলের সর্ববৃহৎ মঞ্চের বল তা মনে করিয়ে দেয়।
বলটিতে নতুন চার-প্যানেল নকশা রয়েছে, যা এটিকে আরও স্থির এবং টেকসই করেছে। পুরু সেলাই ও ঠিকঠাক রেখাগুলো বাতাসে বলের চলাচল স্থিতিশীল রাখবে। ভেজা অবস্থায়ও খোদাই করা প্রতীকগুলো ভালো গ্রিপ নিশ্চিত করবে।

এবারের বলে সবচেয়ে বড় নতুনত্ব হলো অ্যাডিডাসের কানেক্টেড বল প্রযুক্তি (Connected Ball Technology)। বলের ভেতরে থাকা ৫০০ হার্জ সেন্সর ভিএআর (VAR) ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের রিয়েল টাইম তথ্য সরবরাহ করবে। এর ফলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অফসাইড চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। হ্যান্ডবল বা ফাউলের মতো বিতর্কিত পরিস্থিতি সহজেই চিহ্নিত করা যাবে।
অ্যাডিডাসের মহাব্যবস্থাপক স্যাম হ্যান্ডি ট্রাইওন্ডা প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিটি ছোটো জিনিসই বড় প্রভাব ফেলে। খোদাই করা নকশা, স্তরযুক্ত গ্রাফিকস এবং উজ্জ্বল রং এই বলকে অন্যগুলোর থেকে আলাদা করেছে। এটাই আমাদের এখন পর্যন্ত তৈরি করা সবচেয়ে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় ফিফা বিশ্বকাপ বল।
ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে তাকাতে হবে: সোহান
বাংলাদেশের কাছে হার, রশিদের চোখে ব্যাটিং-বোলিংয়ের ব্যর্থতা