ঢাকা
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

এআই কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষার গুরুত্ব কমাবেনা: ওপেনএআই চেয়ারম্যান

আপডেট : ০৬ আগস্ট ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের মধ্যেও কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষার গুরুত্ব কমেনি বলে মনে করেন ওপেনএআইয়ের চেয়ারম্যান ব্রেট টেলর। 

বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টেলর মনে করেন কম্পিউটার সায়েন্স ডিগ্রি ‘সিস্টেম থিংকিংয়ের’ মতো গভীর বিশ্লেষণাত্মক দক্ষতা গড়ে তোলে, যা কেবল কোড লেখা নয় - বরং পণ্য উন্নয়ন ও বড় সিদ্ধান্তে সহায়ক। এ দক্ষতা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না।

টেলরের মতে, বিগ ও নোটেশন, জটিলতা তত্ত্ব, র‍্যান্ডোমাইজড অ্যালগরিদম, ক্যাশ মিসের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর গভীরতা বোঝা এখনো অপরিহার্য, যা একমাত্র ভালো মানের কম্পিউটার সায়েন্স শিক্ষা দিয়েই অর্জন সম্ভব।

তিনি আরো বলেন, ‘কম্পিউটার সায়েন্স পড়া আর কোড শেখা এক নয়। তবে আমি এখনো মনে করি, কম্পিউটার সায়েন্স শেখা অত্যন্ত মূল্যবান।’

এদিকে, মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসও একই সুরে বলেছেন, ‘প্রোগ্রামিং অন্তত আগামী এক শতাব্দী জুড়ে মানুষের কাজই থাকবে।’

গেটসের ব্যাখ্যায়, সফটওয়্যার লেখা মানে শুধু সিনট্যাক্স জানা নয়- বরং অদৃশ্য প্যাটার্ন খুঁজে বের করা, ঝুঁকি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া ও এমন বুদ্ধিবৃত্তিক ঝাঁপ বিষয় যা কোনো অ্যালগরিদম আগাম ধরতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, ‘এআই কোডের কিছু অংশ লিখে দিতে পারে, ডিবাগ করতে পারে বা সফটওয়্যারের কাঠামো সাজিয়ে দিতে পারে। কিন্তু একটা অসম্পূর্ণ আইডিয়া থেকে বাস্তবসম্মত কার্যকর লজিকে পৌঁছতে এখনো মানুষের উপস্থিতিই অপরিহার্য। কপিলট বা চ্যাটজিপিটি হলো কৌশলগত যন্ত্র- এগুলো দক্ষতা বাড়ায়, সৃজনশীলতা বাড়ায়, কিন্তু বিকল্প নয়।’

গেটস ও টেলর উভয়ের মতে, এআই যেমন প্রোগ্রামিংকে আরো কার্যকর করে তুলছে, তেমনি প্রোগ্রামারের চিন্তাশক্তি, অভিজ্ঞতা ও বিশ্লেষণ ক্ষমতার গুরুত্ব আরো বাড়িয়ে তুলছে।

HM/FJ
আরও পড়ুন