চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫৮ কোটি ১৫ লাখ ডলার। যা গত অর্থবছরে একইসময়ে আয় হয়েছিল ৬১ কোটি ৮০ হাজার ডলার। ফলে গত অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরে খাতটি থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ৩ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বা ৪.৬৮ শতাংশ। বুধবার (৬ মার্চ) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) আট মাসে ৫৮ কোটি ১৫ লাখ ২০ হাজার ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। অপরদিকে এ সময়ে সরকারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৭ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। এতে করে লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কমেছে সাড়ে ৯ কোটি ডলার বা ১৪ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য অনুযায়ী আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) সময়টিতে কাঁচা পাট রপ্তানি হয়েছে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একইসময়ে রপ্তানি হয়েছিল ১৩ কোটি ২ লাখ ডলার। এতে করে কাঁচা পাটের রপ্তানি কমেছে ২৩.৪৩ শতাংশ।

পাটের সুতা রপ্তানির হয়েছে ৩৪ কোটি ৮ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একইসময়ে হয়েছিল ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ পণ্যটির রপ্তানি বেড়েছে ১.৬৫ শতাংশ। পাটের ব্যাগ ও বস্তা রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৭ কোটি ৩৪ লাখ ৯০ হাজার ডলার। আগের অর্থবছরে একইসময়ে যা ছিল ৮ কোটি ৩৪ লাখ ডলার। এপণ্যটি থেকে রপ্তানি আয় কমেছে ১৩.১৩ শতাংশ। এছাড়া পাট ও পাটজাতের অন্যান্য পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার।
অন্যদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুন শেষে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে আয় হয়েছিল ৯১ কোটি ২২ লাখ ডলার। আর নতুন অর্থবছরের জন্য এ খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০২ কোটি মার্কিন ডলার।
