২০২৪-২০২৭ মেয়াদে খসড়া রপ্তানি নীতিমালা এবং টিসিবি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে নিত্যপণ্য আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা ২০২৫ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর পৃথক দুটি প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনীতি বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বুধবার (১৫ মে) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির অষ্টম সভায় প্রস্তাব দুটিতে অনুমোদন দেয়া হয়। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি এ বৈঠকে অংশ নেন। সভায় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
সচিব বলেন, রপ্তানি নীতি ২০২৪-২০২৭ এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, রপ্তানি খাতের চাহিদা এবং বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নীতি প্রণয়নের লক্ষ্যে প্রতি তিন বছর অন্তর রপ্তানি নীতি প্রণয়ন করা হয়। বিদ্যমান রপ্তানি নীতি ২০২১-২০২৪ এর মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হবে। এ ধারাবাহিকতায় রপ্তানি নীতিমালা ২০২৪-২০২৭ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিত করার জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিকল্প পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ২০২৪-২০২৭ মেয়াদে ১১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রপ্তানি প্রক্রিয়ায় অনুসরণ করা বিভিন্ন ধাপ এখানে (রপ্তানি নীতি) অন্তুর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, টিসিবি কর্তৃক রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রী আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয়ের ক্ষেত্রে সময়সীমা ২০২৪ সালের ২৬মে থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি।
আর আকস্মিক বিপর্যয়কর ঘটনা মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সিসিইএ সভার অনুমোদনক্রমে টিসিবি পেঁয়াজ, রসুন, মশুর ডাল, ছোলা, মসলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সরাবিন তেল, পাম অয়েল, চিনি, লবণ, আলু, খেজুর ও রাইস ব্র্যান অয়েলসহ অন্যান্য ভোজ্য তেল ইত্যাদি আমদানি বা স্থানীয়ভাবে ক্রয় করে থাকে। নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে পিপিএ ২০০৬ এর ধারা ৬৮(১) আওতায় একই আইনের ৩২ ধারায় ‘যে কোনো ক্রয় পদ্ধতি’ অনুসরণে বর্ণিত পণ্য ক্রয়ের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
