ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ভ্যাট কমেছে বোতলজাত সয়াবিন তেলের

প্রথম দফায় ১৭ অক্টোবর ও দ্বিতীয় দফায় ১৯ নভেম্বর শুল্ককর কমিয়ে তা নামানো হয়েছে শুধু ৫ শতাংশে। এতে বাজারে সামান্য কমে ভোজ্যতেলের দাম। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে বাজার থেকে উধাও হতে শুরু করে ১ ও ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল। তবুও দাম সহনীয় না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়।

আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:৪৮ পিএম

ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে সয়াবিনসহ বিভিন্ন তেলের ওপর। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। কিন্ত বাজারে এখনো পর্যাপ্ত বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া কোথাও কোথায় খোলা সয়াবিন তেল বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১ ও ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়াই যাচ্ছে না। বেশিরভাগ দোকানে পাঁচ লিটারের দু-একটি বোতল দেখা গেছে।

ব্যবসায়ীদের সব দাবি মানার পরও বাজারে এখনও সয়াবিন তেলের সংকট রয়েছে। তদারকি সংস্থার নজরদারির অভাবে মিল থেকে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হচ্ছে। ফলে ডিলারের কাছে পর্যাপ্ত তেল নেই। ফলে খুচরা পর্যায়ে সরবরাহে সংকট পড়েছে। 

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেম্বরের শুরু থেকে বাজারে ভোজ্যতেলের অস্থিরতা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি বলে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি বেশি দামে তেল বিক্রি করতে মিল থেকে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। ডিলারের কাছে সরবরাহ কমিয়ে বাজার থেকে উধাও করা হয় বোতলজাত সয়াবিন তেল। পাশাপাশি খোলা সয়াবিন বিক্রি হয় বেশি দামে। মূল্য স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী আমদানিতে দুই দফায় শুল্ককর কমানো হয়।

প্রথম দফায় ১৭ অক্টোবর ও দ্বিতীয় দফায় ১৯ নভেম্বর শুল্ককর কমিয়ে তা নামানো হয়েছে শুধু ৫ শতাংশে। এতে বাজারে সামান্য কমে ভোজ্যতেলের দাম। তবে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে এসে বাজার থেকে উধাও হতে শুরু করে ১ ও ২ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল। তবুও দাম সহনীয় না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের দাবি অনুযায়ী ৯ ডিসেম্বর লিটারে ৮ টাকা বাড়ানো হয়।

তবুও সরবরাহ সংকট কাটেনি। এরপর ১৬ ডিসেম্বর ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে নতুন বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আমদানিতে শুল্ক, রেগুলেটরি ডিউটি ও অগ্রিম আয়কর শতভাগ অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। তারপরও বাজারশূন্য বোতলজাত সয়াবিন তেল।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন গণমাধ্যমকে বলেছেন, বাজারে হাতেগোনা কয়েকটি কোম্পানি ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি করছে। সরকার চাইলে সব নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিন্তু তা না করে ব্যবসায়ীদের কথা মানলেও সেই সিন্ডিকেট চক্র এখনও বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়ায়নি। সরকারিভাবে দাম আরও বাড়ানোর পাঁয়তারা করছে। যে কারণে তারা মিল থেকে ডিলারদের কাছে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। সরকার তাদের কথা মানলেও ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট এখনো ক্রেতাকে নাজেহাল করে রেখেছে। তারপরও বাজারে তদারকি সংস্থার এই বিষয়ে জোরালো ভূমিকা দেখছি না। যা সন্দেহজনক।

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সরকার লিটারে ৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। পাঁচ লিটারের তেল ৮৩৭ টাকা কিনে ৮৫২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। তিন লিটারের বোতলজাত সয়াবিন ৫১৬ টাকায় কিনতে হচ্ছে। বিক্রি করতে হচ্ছে ৫২৫ টাকায়। খোলা সয়াবিন লিটারপ্রতি ১৮৮ টাকায় ডিলারদের কাছে কিনতে হয়। বিক্রি করতে হচ্ছে ১৮৫ টাকায়। পাম অয়েল ১৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কিনতে হচ্ছে ১৭১ টাকায়। বিক্রেতারা আরও জানান, দুই লিটারের তেল মিললেও বিক্রি হচ্ছে ৩৫৫ টাকায়।

MB/KK
আরও পড়ুন