ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

খেজুরের দাম কমল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ

‘ডিউটি কমানোর কারণে ছোট-ছোট আমদানিকারকরা এবার প্রচুর খেজুর আমদানি করেছে।’

আপডেট : ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৩৭ পিএম

প্রতি কেজি খেজুরের দাম  কমেছে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ। এবার ১০ শতাংশ শুল্কহার কমানোয় খেজুরের দাম কমেছে। পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। 

চট্টগ্রাম নগরের ফলমণ্ডী ও রিয়াজউদ্দিন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বহু জাতের খেজুরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা রয়েছে ইরাকি জায়েদি খেজুরের। এছাড়া নিম্নবিত্তের ভরসায় আছে নরম বরই খেজুর। গত বছরের তুলনায় নরম বরই খেজুর ৩০ থেকে ৪০ টাকা কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, জায়েদি খেজুর ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা কমে ৩৫০ থেকে ৩৭০, আজোয়া খেজুর ২০০ থেকে ২৫০ টাকা কমে ৬০০ থেকে ৮০০, মেডজল খেজুর ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা কমে ৯০০ থেকে ৯৫০ এবং মাবরুম খেজুর ৪০০ টাকা কমে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে বহুল চাহিদা থাকা জায়েদি খেজুর পাইকারিতে ১০ কেজি কার্টুনের দাম ১ হাজার ৭০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বস্তার খেজুর ১২৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জায়েদি খেজুরের দাম আরও কমে আসতে পারে বলে ধারণা করছেন ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশে ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ফলমণ্ডীর ব্যবসায়ী মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ‘ডিউটি কমানোর কারণে ছোট-ছোট আমদানিকারকরা এবার প্রচুর খেজুর আমদানি করেছে। গতবছর ডিউটিসহ বিভিন্ন জটিলতার কারণে তারা আমদানির সুযোগ পায়নি। তাই খেজুর নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়পক্ষের মধ্যে একটা অস্বস্তি ছিল। এ বছর খেজুরের দাম ও সরবরাহ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বন্দর ও জাহাজে আরো ৩০ শতাংশের মতো খেজুর আছে। যা আগামী ১০ দিনের মধ্যে বাজারে ঢুকবে। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই লাভজনক অবস্থায় থাকবে।’

ফ্রেশ ফ্রুটস এসোসিয়েশন সূত্রে জানা গেছে, দেশে খেজুরের বার্ষিক চাহিদা ৬০ থেকে ৯০ হাজার টন। শুধু রমজান মাসে ৪০ হাজার টন খেজুর প্রয়োজন হয়। খেজুরগুলো মূলত সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিসর, জর্ডান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে আমদানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ইরাকি জায়েদি খেজুরের।

আসন্ন রমজানকে লক্ষ্য করে ৪৮ দিনে আমদানি হয়েছে বিভিন্ন জাতের ৩১ হাজার ৬৪৩ টন খেজুর, যা মোট আমদানির ৭০ শতাংশ। পাইপ লাইনে থাকা বাকি ৩০ শতাংশ আগামী ১০ দিনের মধ্যেই বাজারে আসবে।

AA
আরও পড়ুন