পবিত্র ঈদুল আজহার আগেই যেন তেঁতে উঠেছে মসলার বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। রসুন কিনতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি দাম। ২০০ টাকার আদা ২২০ টাকা, হলুদ ৪২০, এলাচ ৫৩০০ টাকা।
শুক্রবারন (১০ মে) সকালে রাজধানীর একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
দেখা গেছে, মানভেদে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬৫ টাকা ও পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানে বিক্রি হয় সর্বোচ্চ ৭০ টাকা, যা সাতদিন আগেও ৫০-৬০ টাকা ছিল। দেশি রসুন প্রতি কেজি সর্বনিু ১১০ টাকায় বিক্রি হলেও এ পণ্য এক মাস আগে ৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৮৫ থেকে ২৪০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি শুকনা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা, যা এক মাস আগেও খুচরা বাজারে ৩০০ টাকা ছিল। আমদানি করা শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ থেকে ৪৩০ টাকা। প্রতি কেজি হলুদ মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৪২০ টাকা।
এছাড়া প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা, যা মাসের ব্যবধানে ২০ টাকা বেড়েছে। দেশি আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৫০ টাকা। প্রতি কেজি জিরা ৬৫০-৫০ টাকা। ৫৫০ টাকা কেজি দরের দারুচিনি মাসের ব্যবধানে বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকায়। প্রতি কেজি লবঙ্গ বি
ক্রি হচ্ছে ১৪০০-১৬০০ টাকা, যা এক মাস আগে ১৩৫০-১৫৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি কেজি ছোট দানার এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৪৬০০-৫৩০০ টাকা।
রাজধানীর কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, কোরবানির ঈদের আগেই মধ্যে বিক্রেতারা সব ধরনের মসলার দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কিন্তু বাজারে এ পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। ভোক্তার হয়রানি দূর করতে বাজারে কার্যকর অভিযানের দাবি জানান তিনি।
কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন বলেন, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে অসাধু বিক্রেতারা মসলা পণ্যের দাম বাড়ায়। এবারও তাই হয়েছে। এজন্য এখন থেকেই কঠোরভাবে তদারকির মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।