ঢাকা
সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ভারতের

আপডেট : ১৮ মে ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক (আরএমজি) ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্য সামগ্রীসহ কিছু পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ভারত।

শনিবার (১৭ মে) দেশটির বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর (ডিজিএফটি) এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশ সমুদ্রবন্দর ও স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় তুলা আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ভারত।

এতে বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশের কিছু নির্দিষ্ট পণ্য ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে কোনো স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। কেবল নাভা শেভা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর দিয়েই প্রবেশের অনুমতি থাকবে। এ নিষেধাজ্ঞা ভারতের মধ্যদিয়ে পরিবহনকারী বাংলাদেশি পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যা নেপাল ও ভুটানের উদ্দেশে পাঠানো হবে। এ নির্দেশিকা কার্যকর করা হয়েছে।’

ফল-ফলের স্বাদযুক্ত ও কার্বনেটেড পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যসামগ্রী, তুলা ও সুতির সুতার বর্জ্য, প্লাস্টিক ও পিভিসি তৈরিপণ্য আমদানি, নিজস্ব শিল্পের জন্য ইনপুট তৈরি করে এমন রঙিন পদার্থ, রং, প্লাস্টিসাইজার, কাঠের আসবাবপত্র এবং অন্যান্য পণ্য আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরামের কোনো স্থল কাস্টমস স্টেশন (এলসিএস)/ ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট (আইসিপি) ও পশ্চিমবঙ্গের (এলসিএস) চ্যাংড়াবান্ধা ও ফুলবাড়ি দিয়ে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না। তবে, বাংলাদেশ থেকে মাছ, এলপিজি, ভোজ্যতেল এবং চূর্ণী পাথর প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য নয়।

এর আগে গত মাসে তৎকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি স্থগিত করেছে। আর গত ৯ এপ্রিলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ভারতের বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য যাওয়ার ব্যবস্থা প্রত্যাহার করেছে ভারত।

স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান গণমাধ্যমকে বলেন, বেনাপোল দিয়ে যদি রপ্তানি বন্ধ হয়। ভারত যদি কাপড় আমদানি বন্ধ করে তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে আমাদের। ভারত নিজেও পোশাক উৎপাদন করে। ভারতের সঙ্গে আমরা কঠিন প্রতিযোগিতা করে তৈরি পোশাক রপ্তানি করি। বেনাপোল দিয়ে রপ্তানি বন্ধ হলে আমাদের খরচ অনেক বেড়ে যাবে। ভারতে রপ্তানি প্রবৃত্তি অনেক ভালো তৈরি পোশাকের।

এ প্রবৃদ্ধি আর থাকবে না। বেনাপোল দিয়ে যে সুতা আমদানি বন্ধ করা হয়েছে তারই পালটা ব্যবস্থা হিসেবে এটি করা হয়েছে। সুতা আমদানি বন্ধে আমাদের কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু এখন আমাদের ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যাবে। এজন্য সরকারের অর্থনৈতিক কূটনীতিকে জোরালো করতে হবে।

MMS
আরও পড়ুন