ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

আগস্টে মূল্যস্ফীতি ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন

আপডেট : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০০ পিএম

আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত জুলাই মাসে এই হার ছিল ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি যা হয়েছে, তা গত ৩৭ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। ২০২২ সালের জুলাই মাসে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছিল। এরপর আর কখনো ৮ শতাংশের নিচে মূল্যস্ফীতি নামেনি।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গত আগস্ট মাসের মূল্যস্ফীতি চিত্র প্রকাশ করেছে।

বিবিএসের হিসাব অনুসারে, গত আগস্ট মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয় ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ। খাদ্য খাতে আগের মাসের চেয়ে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। কমেছে খাদ্য বহির্ভূত খাতের মূল্যস্ফীতি।

গত তিন বছর ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ০৩ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি একধরনের করের মতো। আপনার প্রতি মাসে আয়ের পুরোটাই সংসার চালাতে খরচ হয়ে যায়। কিন্তু হঠাৎ জিনিসপত্রের দাম বাড়লে এবং সে অনুযায়ী আপনার আয় না বাড়লে আপনাকে ধারদেনা করে সংসার চালাতে হবে কিংবা খাবার, কাপড়চোপড়, যাতায়াতসহ বিভিন্ন খাতে কাটছাঁট করতে হবে। মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধি বা আয় বৃদ্ধি কম হলে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়ে। প্রকৃত আয় কমে যায়।

তবে মূল্যস্ফীতির হার কমে যাওয়া মানে জিনিসপত্রের দাম কমে যাওয়া নয়। অন্যান্য মাসের তুলনায় ওই নির্দিষ্ট মাসে দাম বৃদ্ধি হয়তো কিছুটা কম হয়েছে-এটাই বোঝায়। উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে, ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে বাজার থেকে পণ্য ও সেবা কিনতে যদি আপনার খরচ হয় ১০০ টাকা। ২০২৫ সালের গত আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ হওয়ার মানে হলো, ২০২৫ সালের আগস্ট মাসে অর্থাৎ এক বছর একই পণ্য ও সেবা কিনতে আপনাকে ১০৮ টাকা ২৯ পয়সা খরচ করতে হয়েছে। প্রতি ১০০ টাকায় আপনার খরচ বেড়েছে ৮ টাকা ২৯ পয়সা।

LH/SN
আরও পড়ুন