ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হিলিতে লাখ টনের বেশি চাল আমদানি, কমছে দাম

আপডেট : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২:০৭ পিএম

দেশের বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের অনুমতি পাওয়ার পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে গত ১২ আগস্ট থেকে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়। আমদানির পর অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে চালের বাজার। এতে সব ধরনের চালের দাম কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত। ফলে স্বস্তি ফিরেছে নিম্নআয়ের মানুষদের মাঝে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হিলি স্থলবন্দর ঘুরে দেখা যায়, বন্দরের অভ্যন্তরে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে ভারতীয় চাল বোঝাই ট্রাক। এসব ট্রাকে রয়েছে ভারত থেকে আমদানি করা স্বর্ণা-৫, সম্পা কাটারি, ৪০/৯৪ (চিকন জাত) ও রত্না চাল। আর চালের মান বন্দরে দেখে কিনছেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

প্রতিকেজি স্বর্ণা-৫ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৯-৫০ টাকায়, সম্পা কাটারি ৬৫-৬৭ টাকা, ৪০/৯৪ জাতের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকায়। সব চালের মানভেদে দাম কমেছে ৩-৪ টাকা।

হিলি কাস্টমসের তথ্যমতে, ভারত থেকে ১২ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ২ হাজার ৩২৩টি ট্রাকে শুল্কমুক্ত ১ লাখ ২০ হাজার টন চাল আমদানি হয়েছে। এসব চাল ৫০০ থেকে ৫২০ ডলারে বন্দর থেকে খালাস করছেন ব্যবসায়ীরা শুধুমাত্র ২% অগ্রিম আয়কর দিয়ে।

হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী নুর ইসলাম বলেন, চাল আমদানি চলমান রয়েছে। চালের দাম অনেক কম। তবে চাহিদার তুলনায় আমদানি বেশি হওয়ার কারণে তেমন বিক্রি নেই। বন্দরে অনেক চাল বোঝাই ট্রাক পড়ে আছে। চাহিদা বাড়লে এসব বিক্রি হবে।

হিলি স্থলবন্দরের চাল ব্যবসায়ী মমিনুর বলেন, বন্দর থেকে চাল কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়। চালের বর্তমান বাজার থাকলে আমাদের ব্যবসা ভালো হবে। বাজার স্থিতিশীল থাকলে কিনতে এবং বিক্রি করতে সুবিধা। নইতো আমাদের লোকসান গুনতে হয়।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ভারত থেকে এই বন্দর দিয়ে চাল আমদানি অব্যাহত রয়েছে। যেহেতু দেশের বাজারে চালের চাহিদা রয়েছে, তাই আমদানিকারকরা দ্রুত যাতে বাজারজাত করতে পারে সেজন্য আমরা তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি।

NJ
আরও পড়ুন