বিশ্ববাজারে সোনার দামে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। টানা বাড়ার পর মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সোনার দাম ৫ শতাংশের বেশি কমে যায়। তবে বুধবার (২২ অক্টোবর) সকালে কিছুটা ঊর্ধ্বগতি দেখা গেলেও পরে আবার কমে যায় দাম।
বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩ মিনিটের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, স্পট গোল্ডের দাম ২.৬ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ১৭ দশমিক ২৯ ডলারে নেমে এসেছে, যা প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন।
এর আগে দিনের শুরুতে দাম চার হাজার ১৬১ দশমিক ১৭ পর্যন্ত উঠেছিল। ডিসেম্বর ডেলিভারির জন্য ইউএস গোল্ড ফিউচার্সের দাম ১.৯ শতাংশ কমে প্রতি আউন্সে চার হাজার ৩২ দশমিক ৮০ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
মার্কিন ডলার সূচক ০.২ শতাংশ বেড়ে এক সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়েছে, যা ডলারের মূল্যে নির্ধারিত সোনার দামকে অন্যান্য মুদ্রা ধারণকারীদের জন্য আরো ব্যয়বহুল করে তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, মঙ্গলবারের বড় দরপতনের পর বিনিয়োগকারীরা কম দামে সোনা কেনার সুযোগ দেখেছেন। পাশাপাশি, সাম্প্রতিক সময়ে ডলারের দরপতনও স্বর্ণে বিনিয়োগে উৎসাহ দিয়েছে।
বাজার বিশ্লেষক রোনা ও’কনেল রয়টার্সকে বলেন, এই সংশোধন প্রয়োজন ছিল, কারণ বাজারে সোনার অতিরিক্ত ক্রয় হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার কমার প্রত্যাশা বিনিয়োগকারীদের আবারও সোনার দিকে ফিরিয়ে আনছে।
এদিকে, বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি এখন শুক্রবার প্রকাশিতব্য যুক্তরাষ্ট্রের ভোক্তা মূল্য সূচক (সিপিআই) প্রতিবেদনের দিকে। ওই প্রতিবেদন থেকেই ধারণা মিলতে পারে ফেডারেল রিজার্ভ আসন্ন সময়ে সুদের হার কমাবে কি না।
রুপার দামও বুধবার কিছুটা বেড়েছে শূন্য দশমিক ২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি আউন্সে ৪৮.৮৪ ডলার হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার রুপার দাম ৭ দশমিক ১ শতাংশ কমেছিল।
