ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

বর্ষাকালে বাংলাদেশের সেরা কিছু ভ্রমণ স্থান

আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৮ এএম

ষড়ঋতুর এই দেশে শুরু হয়েছে বর্ষাকাল। বর্ষা নিয়ে আমাদের আগ্রহের কমতি নেই। বাঙালিদের আবেগ, সাহিত্য এমনকি খাদ্যাভ্যাস জুড়ে আছে বৃষ্টি ও বর্ষার বৈচিত্রপূর্ণ আবেশ। তেমনি বর্ষাকালে ভ্রমণ করাটাও বর্ষার আরেক যাদুকরী মুগ্ধতার আনন্দময় পরিণতি। যদি ভাবেন শহর থেকে একটু বাইরে বের হবেন, তবে মিলতে পারে মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্যের দেখা।

ভ্রমণ গাইডের আজকের আয়োজনে চলুন জেনে নেয়া যাক বর্ষাকালে দেশে ভ্রমণের সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে।

১. টাঙ্গুয়ার হাওর, সুনামগঞ্জ
বাংলাদেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমির নাম টাঙ্গুয়ার হাওর (Tanguar Haor)। সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত এই হাওরটি স্থানীয় লোকজনের কাছে ‘নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল’ নামেও পরিচিত। প্রায় ৯,৭২৭ হেক্টর এলাকাজুড়ে বিস্তৃত টাঙ্গুয়ার হাওরে প্রায় ৪৬ টি দ্বীপের মত ভাসমান গ্রাম রয়েছে। ভারতের মেঘালয় থেকে প্রায় ৩০টি ছোট বড় ঝর্ণা এসে বাড়িয়েছে এই হাওরের বৈচিত্র। বর্ষাকালই হচ্ছে টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। অনেক বিলাসবহুল হাউজবোট আছে ঘুরে দেখার জন্যে এই অপরূপ সৌন্দর্য।

২. রাতারগুল, সিলেট
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত রাতারগুল (Ratargul) জলাবন বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন। জীববৈচিত্রে পরিপূর্ণ পৃথিবীর অন্যতম এই জলাবন বছরে ৪/৫ মাস পানির নিচে তলিয়ে থাকে। আর তখন জলে ডুবে থাকা প্রাকৃতিক বনের সৌন্দর্য দেখতে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ‘সিলেটের সুন্দরবন’ খ্যাত রাতারগুলে এসে ভিড় করেন। অনেকে আবার রাতারগুলকে বাংলাদেশের আমাজন হিসাবেও আখ্যায়িত করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ বন বিভাগ রাতারগুল বনের ৫০৪ একর জায়গাকে বন্যপ্রাণীর অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করে।

৩. বিছনাকান্দি, সিলেট
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নে অবস্থিত বিছনাকান্দি (Bisnakandi) একটি পাথর কোয়ারী। পাথরের উপর বয়ে চলা কাচের মত স্বচ্ছ জলের ধারা, পাহাড়ের গায়ে শুভ্র মেঘের উড়াউড়ির দৃশ্য এখানে আগত পর্যটকদের বিনোদিত করে। পাথরের বিছানার উপর দিয়ে বয়ে চলা স্বচ্ছ পানিতে গা ভেজানোয় যে মানসিক প্রশান্তি আছে সেই প্রশান্তি পর্যটকদের বারবার বিছানাকান্দি নিয়ে আসে। এক কথায় বিছানাকান্দি যেন পাহাড়, নদী, ঝর্ণা আর পাথরের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক মায়াজাল বিছিয়ে রেখেছে।

৪. ভোলাগঞ্জ, সিলেট
বর্ষায় সিলেট অঞ্চল বেড়ানোর জন্যে উপযুক্ত সময়। বর্তমানে জনপ্রিয় ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর বেড়ানোর জন্যে এই বর্ষাকালকে বেছে নিতে পারেন। বর্ষায় পাহাড়ের ভাজে লুকিয়ে থাকা মেঘ, পাথর কোয়ারির উপর ছুটে চলা অভিরাম পানির স্রোতধারা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। সিলেট থেকে খুব সহজেই একদিনে ঘুরে আসায় যায় ভোলাগঞ্জ থেকে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন আমাদের ভোলাগঞ্জ ভ্রমণ গাইড।

৫. সাজেক, রাঙ্গামাটি
রাঙ্গামাটি জেলার বাঘাইছড়িতে অবস্থিত সাজেক ভ্যালি (Sajek Valley) বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পর্যটন আকর্ষণ। মেঘের লুকোচুরি খেলা কিংবা মেঘ ছুঁয়ে দেখতে চাইলে সাজেকের বিকল্প নেই। রুইলুইপাড়া এবং কংলাক পাড়ার সমন্বয়ে গঠিত সাজেক ভ্যালি থেকে রাঙামাটির বেশ কিছু অংশ দেখে যায়। তাই সাজেক ভ্যালিকে রাঙামাটির ছাদ বলা হয়। সাজেক এমনই এক আশ্চর্য্যজনক জায়গা যেখানে একই দিনে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত প্রকৃতির এই তিন ঋতুর সান্নিধ্য অনুভব করা যায়। তাই দিন হোক কিংবা রাত সাজেক যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা অপূর্ব এক ছবি।

AHA
আরও পড়ুন