ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শুধু বাংলাদেশ নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা, ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান এবং বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বিশ্বের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যমগুলো গুরুত্বের সাথে এই তরুণ বিপ্লবীর মৃত্যু ও এর পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা হাদিকে ‘বাংলাদেশের ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের প্রভাবশালী নেতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে তাদের প্রতিবেদনে হাদিকে ‘ভারতের একজন স্পষ্টভাষী সমালোচক’ হিসেবে উল্লেখ করে জানায়, বিক্ষোভকারীরা তার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনের এই বিশিষ্ট নেতার মৃত্যুর পর বাংলাদেশে নতুন করে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
এছাড়া মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন, মধ্যপ্রাচ্যের আল আরাবিয়া, মালয়েশিয়ার দ্য সান এবং পাকিস্তানের দ্য ডন ও জিও নিউজ হাদির মৃত্যুর খবর প্রচার করেছে। এমনকি ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও দ্য টেলিগ্রাফেও তার মৃত্যুর খবরটি গুরুত্ব পেয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর ঢাকা-৮ আসনে নির্বাচনি প্রচারণাকালে দুর্বৃত্তরা হাদির মাথায় গুলি করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) তার মরদেহ দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
হাদির প্রথম জানাজা নিয়ে যা জানালো ইনকিলাব মঞ্চ