জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পর হোয়াইট হাউজে নির্ধারিত সফর বাতিল করেছে ইসরায়েল। সোমবার (২৫ মার্চ) এ প্রস্তাবনায় যুক্তরাষ্ট্র ভোট না দিলেও ভেটোদানে বিরত ছিল। আর তাতেই এমন প্রতিক্রিয়া জানায় দেশটি।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আজ জাতিসংঘে তাদের নীতি থেকে সরে গেছে। দুঃখজনকভাবে তারা নতুন প্রস্তাবনাতে ভেটো দেয়নি। যে প্রস্তাবনায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জিম্মি মুক্তির শর্তসাপেক্ষে নয়। এতেই স্পষ্ট হয় যে, গাজায় যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে নিরাপত্তা পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রের যে অবস্থান ছিল তা থেকে তারা সরে গেছে। তাই প্রতিনিধিদল ইসরায়েলেই থাকবে।
তিনি বলেন, আজকের প্রস্তাবনায় হামাস এই আশা পাবে যে, আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল জিম্মিদের মুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি মেনে নেবে। এভাবে ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং জিম্মি মুক্তির চেষ্টা দুইই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ইসরায়েলের প্রতিনিধিদলের সফর বাতিলের পদক্ষেপে যুক্তরাষ্ট্র ‘খুবই হতাশ’ বলে জানিয়েছে। তবে বলেছে, এই সফর বাতিল হলেও আলাদাভাবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সফর হবে।
অথচ প্রস্তাবনা পাসের আগেই ইসরায়েল বলেছিল, যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি থেকে সরে গেলে এবং ক্ষতিকর প্রস্তাবনায় ভেটো না দিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের সফর বাতিল করা হবে।
এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি নিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চুক্তির আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব আনে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চীনের ভিটোর কারণে প্রস্তাবটি ব্যর্থ হয়।
এ প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের জন্য যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো হয়েছিল। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে ‘দফায় দফায় আলোচনা করে’ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি তৈরি করা হয়।
গাজায় যুদ্ধে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনের মৃত্যুর পর বাড়তে থাকা আন্তর্জাতিক চাপের মুখে যুক্তরাষ্ট্র আগের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। এতে গাজায় রোজার মাসের জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাতে নিরাপত্তা পরিষদের পথ সুগম হয়।
সূত্র: বিবিসি
