জার্মানি থেকে চার কিশোর-কিশোরীকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের সন্দেহ তারা আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে একাধিক থানা এবং চার্চে ছুরি হামলা ও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা করছিল।
অভিযুক্তদের প্রত্যেকের বয়স ১৫-১৬ বছরের মধ্যে। ১৬ বছরের আলবিনা এবং তার বন্ধুদের কথোপকথনে আড়িপাতার পরই মূলত তদন্ত শুরু করে পুলিশ। সেই টেলিফোনের কথোপকথনে বন্ধুদের কাছে আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর ভূয়সী প্রশংসা করছিল আলবিনা। ১৫ বছরের ভিয়াম নামে একটি মেয়েকেও এই কথোপকথনের সূত্র ধরেই হেফাজতে নেওয়া হয়। ভিয়ামের জার্মানি এবং মরক্কোর নাগরিকত্ব রয়েছে।

৬ বছর আগে আইসিস জঙ্গিগোষ্ঠীর হয়ে অর্থ সংগ্রহের অভিযোগে ধরা হয়েছিল ভিয়ামের বাবাকে। ভিয়ামের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ ভোজালি, বড় ছুরির মতো একাধিক ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে। ডুসেলডর্ফ, ডর্টমুন্ডের একাধিক চার্চ এবং থানায় হামলা চালানোর বিস্তারিত প্ল্যানের প্রমাণ ভিয়ামের ফোনের চ্যাটে পাওয়া গেছে।
এই দুই নাবালিকাকে জিজ্ঞাসাবাদদের সূত্র ধরে পরে দু’জন নাবালককে হেফাজতে নেয় পুলিশ। অভিযোগ, দুই সঙ্গিনী আটক হওয়ার পরও ‘টেলিগ্রাম অ্যাপ’-এ হামলার পরিকল্পনা করেছিলো তারা। মূল টার্গেট ছিল খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ এবং পুলিশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধশুরুর পর থেকেই জার্মানিতে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়। নিউ ইয়র্ক ইভে একটি ক্যাথিড্রালে হামলার ঘটনায় তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছিল জার্মান পুলিশ। গত মার্চে আইএস যোগসূত্রের অভিযোগে জার্মানিতে গ্রেপ্তার হয় দুই আফগান। অভিযোগ, সুইডেনের পার্লামেন্টে হামলার ছক ছিল তাদের। এই পরিস্থিতিতে চার নাবালক-নাবালিকার আটক হওয়াকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে জার্মান পুলিশ। এই ঘটনাকে ‘বিপজ্জনক’ বলে উল্লেখ করেছেন জার্মানির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ন্যান্সি ফায়েজার।
