উত্তর-মধ্য নাইজেরিয়ায় একটি স্কুল ভবন ধসে কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই ওই স্কুলে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে দেশটির প্লাথু রাজ্যের জোস নর্থ জেলার সেন্টস অ্যাকাডেমি কলেজের একটি ভবন ধসে পড়ে। এ সময় শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষের ভেতরেই ছিল। খবর আলজাজিরার।
স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের খবরে এই ঘটনায় ১২ শিশুর মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে। তবে রেড ক্রসের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, কমপক্ষে ২১ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
নাইজেরিয়ার ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি জানিয়েছে, উদ্ধার ও স্বাস্থ্যকর্মীর পাশাপাশি নিরাপত্তা বাহিনীকে উদ্ধারকাজে মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় অনেক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে দেখা যায়, উদ্ধারকর্মীরা ভবনে আটকে পড়াদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করছেন। এ ছাড়া ভবনের ধ্বংসাবশেষের স্তূপের চারপাশে বহু মানুষ ভিড় করেছেন।
প্লাথু রাজ্যের তথ্য কমিশনার মুসা আশোমস এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রায় ১২০ জন আটকা পড়েছে। অনেককে উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সরকার হাসপাতালগুলোকে নথিপত্র বা অর্থ প্রদান ছাড়াই সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এই ট্র্যাজেডির জন্য স্কুলের দুর্বল অবকাঠামো এবং নদীতীরের কাছে অবস্থানকে দায়ী করেছে স্থানীয় সরকার। এই ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে একই ঝুঁকিতে থাকা স্কুলগুলোকে বন্ধ করে দেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই ঘটনায় আহত উলিয়া ইব্রাহিম নামে এক স্কুল শিক্ষার্থী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি ক্লাসে প্রবেশ করার পাঁচ মিনিটের মধ্যে একটি শব্দ শুনতে পায় এবং পরের আমি নিজেকে এখানে খুঁজে পাই।’
তিনি আরও জানান, যখন ভবনটি ধসে পরে তখন আমরা অনেকেই ক্লাসে পরীক্ষা দিচ্ছিলাম।
তবে আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ নাইজেরিয়ায় ভবন ধসে পড়া সাধারণ হয়ে উঠছে। গত দুই বছরে এমন এক ডজনের বেশি ঘটনা দেশটিতে ঘটেছে।
কর্তৃপক্ষ প্রায়ই এই ধরনের বিপর্যয়ের জন্য বিল্ডিং সুরক্ষা বিধি প্রয়োগে ব্যর্থতা এবং দুর্বল রক্ষণাবেক্ষণকে দায়ী করেন।
