জার্মানির প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এক চুক্তির পর আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এসপিডি) ও প্রধান বিরোধী দল সিডিইউ/সিএসইউ ঐতিহ্যবাহী রক্ষণশীল দলের এমপিদের সমর্থনে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তবে, এ তারিখটি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্ক-ওয়াল্টার স্টাইনমায়ার দ্বারা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদিত হবে। এই অনুমোদন এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতা বলে মনে করা হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।
এ সিদ্ধান্ত দেশটির পার্লামেন্টে দিন দিন বাড়তে থাকা রাজনৈতিক অস্থিরতার পর নতুন দিশা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে তিন দলীয় জোট সরকার ভেঙে পড়ার পর থেকেই সরকার পরিচালনা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও জল্পনা শুরু হয়েছে। এসপিডি থেকে চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডনারকে অপসারণ করার পর ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি (এফডিপি) এই ত্রিপক্ষীয় জোট থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে সরকার পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ও রাজনৈতিক শূন্যতা তৈরি হয়।
নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণকে একটি আপস হিসেবে দেখা হচ্ছে। রক্ষণশীল বিরোধীরা জানুয়ারিতে নির্বাচন চেয়েছিল। তাদের যুক্তি, অর্থনৈতিক সংকট ও কূটনৈতিক অস্থিরতার সময়ে দেশকে নেতৃত্বহীন রাখা যায় না। অন্যদিকে, চ্যান্সেলর শলৎস মার্চ মাসের মাঝামাঝি নির্বাচন চান। যাতে করে নির্বাচনি কর্তৃপক্ষ সময়মতো প্রস্তুতি নিতে পারে।
চ্যান্সেলর শলৎস বুধবার দুপুরে পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন এবং সরকারের ওপর আস্থা ভোটের তারিখ ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ১৬ ডিসেম্বর আস্থা ভোট হতে পারে। তবে সরকারের বর্তমান অবস্থান এবং জনমতের ভিত্তিতে এই আস্থা ভোটে শলৎসের সরকার হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এর ফলে নির্বাচন এগিয়ে আনার পথ সুগম হবে।
এফডিপির সরে আসার পর শলৎসের কেন্দ্র-বামপন্থি এসপিডি ও গ্রিন পার্টি সংখ্যালঘু সরকার পরিচালনা করছে। শলৎস পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং দলের শীর্ষ নেতাদের সমর্থনও পেয়েছেন। যদিও তার জনপ্রিয়তা অনেক কমে গেছে। প্রথমদিকে শলৎস মার্চ মাসের শেষের দিকে নির্বাচন চেয়েছিলেন। কিন্তু সিডিইউ ও গ্রিন পার্টির চাপে নির্বাচনের তারিখ আরও এগিয়ে আনতে বাধ্য হন। রক্ষণশীল সিডিইউ ইতোমধ্যে জনমত জরিপে এগিয়ে রয়েছে এবং এর নেতা ফ্রিডরিখ মের্জ দ্রুততম সময়ে নির্বাচন আয়োজনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছেন।
