সংশয়ের মধ্যেই মিয়ানমারে নির্বাচন শুরু

আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ এএম

দেশজুড়ে চলমান গৃহযুদ্ধ, সহিংসতা আর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গভীর সংশয়ের মধ্যেই মিয়ানমারে আজ শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচন। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া এই ভোটগ্রহণ। ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাতের পর দেশটির প্রথম জাতীয় নির্বাচন।

মিয়ানমার শাসনকারী জান্তা সরকারের দাবি, এই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশটিতে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরার নতুন সুযোগ তৈরি হবে। তবে জাতিসংঘ, পশ্চিমা দেশগুলো এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এই ভোটকে ‘প্রহসন’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তাদের মতে, জান্তা-বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়া এই নির্বাচন কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু বা বিশ্বাসযোগ্য হতে পারে না।

২০২০ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পাওয়া নোবেলজয়ী নেত্রী অং সান সু চি বর্তমানে কারাবন্দি। তার দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’কে (এনএলডি) ইতোমধ্যে বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে জান্তা সরকার। ফলে এই নির্বাচনে মূলত সামরিক বাহিনী সমর্থিত দল ‘সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি’ (ইউএসডিপি) একক আধিপত্য বিস্তারের সুযোগ পাচ্ছে।

নির্বাচনটি মোট তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শেষে আগামী ১১ ও ২৫ জানুয়ারি দ্বিতীয় ও তৃতীয় ধাপের ভোট অনুষ্ঠিত হবে। তবে দেশের ৩৩০টি টাউনশিপের মধ্যে ২৬৫টিতে ভোট নেওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও এর বড় অংশে জান্তার কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

থাইল্যান্ডের কাসেতসার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও মিয়ানমার বিশেষজ্ঞ লালিতা হানওয়ং বলেন, এই নির্বাচন মূলত সামরিক বাহিনীর ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার এবং নিজেদের কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দেওয়ার একটি কৌশল মাত্র।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জান্তা সরকার একটি ‘বেসামরিক মুখোশ’ পরার চেষ্টা করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

DR/AHA
আরও পড়ুন