ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া বাংলাদেশের সব সীমান্ত নজরদারি করবে ভারত

আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১১:১৭ পিএম

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। প্রায় ১৫ দিন পর গত ৭ মে গভীর রাতে সেই হামলার ‘জবাবে’ ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

‘অপারেশন সিঁদুর’ কার্যকর হওয়ার পরে সীমান্তবর্তী সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এই বৈঠকের পর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্র ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেই কাজ করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বক্তব্য, রাজ্যের সিদ্ধান্ত এখন সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হবে ও নজরদারি চলবে এলাকা ধরে ধরে। বিশেষ নজরদারি চলবে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া ভারত-বাংলাদেশের সব সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোর উপরে।

কেন্দ্রের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। সেই বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যসচিব রাজ্যের পক্ষে ‘নোডাল কর্মকর্তা’ হিসেবে কাজ করবেন। এ সময় কেন্দ্র বা কেন্দ্রীয় কোনো সংস্থা তার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে। নেপাল, ভুটান, বাংলাদেশের সঙ্গে দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এই রাজ্যের। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পালাবদলের পরে সেখানে পরিস্থিতিরও বদল ঘটেছে। ফলে সবদিক থেকে চোখ-কান খোলা রাখার বার্তা দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তাদের।

সূত্র মারফত জানা গেছে, এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ লাগোয়া পুরো আন্তর্জাতিক সীমান্তে বিশেষ নজরদারি চালানো জন্য ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) সদস্যদের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। ভৌগোলিক ও কৌশলগত দিক থেকে উত্তরবঙ্গের নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি সংলগ্ন এলাকায় বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনী হাই অ্যালার্ট জারি করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এছাড়া রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সচিবালয় নবান্নে অসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তরের মূল কন্ট্রোলরুম ছাড়া উত্তরবঙ্গের জন্য সেখানকার উত্তরকন্যা ভবনে আরো একটি কন্ট্রোলরুম চালু হবে। সাধারণ মানুষ কোনো তথ্য প্রশাসনকে দিতে চাইলে, তাদের জন্যও পৃথক একটি নম্বর চালু করবে রাজ্য সরকার।

MMS
আরও পড়ুন