ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হামাস আত্মসমর্পণ না করলে গাজা সিটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে

আপডেট : ২২ আগস্ট ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম

হামাস অস্ত্র সমর্পণ ও জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজা সিটি ধ্বংস করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাৎজ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি জানিয়েছে, শিগগিরই হামাসের খুনিদের ওপর নরকের দরজা খুলে যাবে। তারা যদি শর্ত না মানে, তবে গাজা সিটির পরিণতি হবে রাফাহ ও বেইত হানুনের মতো।

তিনি আরও বলেন, হামাসকে পরাজিত করা এবং সব জিম্মি মুক্ত করা-এই দুটি লক্ষ্য একসঙ্গে অর্জন করতে হবে।

ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাতে গাজা শহরে ব্যাপক সামরিক অভিযানের পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। এ সিদ্ধান্ত ঘিরে দেশ-বিদেশে তীব্র বিরোধিতা থাকলেও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, সেনাবাহিনীকে গাজা সিটি দখল ও হামাসকে হারানোর জন্য প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস একটি ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সম্মতি দেয়। এতে অর্ধেক জিম্মি মুক্তির শর্ত ছিল। তবে নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, সব জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধের অবসান কেবল ইসরায়েলের শর্ত মেনে সম্ভব।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আলোচনার জন্য নতুন স্থান নির্ধারণ হলে প্রতিনিধি দল পাঠানো হবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির দশ লাখ বাসিন্দাকে উপত্যকার দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। চিকিৎসা সংস্থাগুলো বলছে, এ উদ্যোগে গাজার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজা শহরে লাগাতার হামলায় অসংখ্য সাধারণ মানুষ নিহত হচ্ছে এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলছে।

এ অবস্থায় জাতিসংঘের সংস্থাগুলো বলছে, গাজার মানবিক সংকট ভয়াবহ আকারে গভীর হচ্ছে। সম্প্রতি খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আইপিসি সতর্ক করেছে, দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি এখন গাজায় দেখা দিচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের আকস্মিক হামলায় ইসরায়েলে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। এর জবাবে ইসরায়েলের অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৬২ হাজার ১৯২ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই পরিসংখ্যানকেই নির্ভরযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করে জাতিসংঘ।

NB/MMS
আরও পড়ুন