ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার দিকে যাওয়া ত্রাণবাহী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ৩৯টি জাহাজ আটকে দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। এরফলে আর মাত্র একটি জাহাজ এখনো গাজার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আয়োজকরা। আটক করা জাহাজগুলোয় পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গসহ প্রায় ৫০০ অধিকারকর্মী ছিলেন।
আয়োজকেরা বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) জানিয়েছেন, বর্তমানে শুধু একটি নৌযান এখনো ফিলিস্তিনি উপকূলের দিকে যাত্রা করছে। তবে, সেই নৌযানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে মূল বহরের।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা নামে আয়োজকদের ওয়েবসাইটের ট্র্যাকার অনুযায়ী, ‘মিকেনো’ নামে একটি নৌকা এখনো যাত্রা করছে।
বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক জলসীমায় জাহাজগুলোতে উঠে অধিকারকর্মীদের আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি নৌ কমান্ডোরা। জাহাজে লাগানো ক্যামেরার লাইভ ফিডে দেখা গেছে, ইসরায়েলি কমান্ডোরা অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জাহাজে উঠছেন। ওই সময় জাহাজের যাত্রীরা হাত উপরের দিকে তুলে রেখেছিলেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে গ্রেটা থুনবার্গ তার জাহাজের এক কোণায় বসে আছেন। ওই সময় তাকে ঘিরে রেখেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। গ্রেটা ও তার সঙ্গীরা সুস্থ আছে বলেও জানায় দখলদারদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
৪০টিরও বেশি জাহাজে খাবার ও ওষুধ নিয়ে আগস্টের শেষ দিক থেকে গাজার দিকে রওনা দেন এসব অধিকারকর্মী। তাদের সঙ্গে আইনজীবীরাও ছিলেন।
তাদের লক্ষ্য ছিল গাজা উপকূলে দখলদার ইসরায়েলের অবৈধ অবরোধ ভাঙা। তবে গাজার কাছাকাছি আসার পর গতকাল রাত থেকে জাহাজগুলো আটক করা শুরু করে ইসরায়েলি নৌবাহিনী।
যাত্রা শুরুর পর এসব জাহাজের নিরাপত্তার জন্য নিজেদের নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়েছিল স্পেন ও ইতালি। এছাড়া ড্রোন দিয়ে সহায়তা করছিল তুরস্ক। কিন্তু ইসরায়েলি সেনারা ফ্লোটিলার জাহাজরগুলো আটকের সময় এ দেশগুলোর নৌবাহিনীর জাহাজ ছিল না।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাহাজ আটকের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে। দেশটি বলেছে ফ্লোটিলার ওপর হামলা ‘সন্ত্রাসী হামলা’। সূত্র: রয়টার্স
ফ্লোটিলায় আটক স্বেচ্ছাসেবীদের নেওয়া হচ্ছে ইসরায়েলে, পাঠানো হবে ইউরোপে
ফ্লোটিলা থেকে দুই শতাধিক অধিকারকর্মী আটক